গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। যাচ্ছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুক্রবার বিকেলে রাজভবনেই হয়েছে এই সাক্ষাৎ। কী কারণে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিজেপি-র এই দুই নেতা, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক শিবিরে।
বৈশাখী জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁরা রাজভবনে পৌঁছন। তবে এই বৈঠকের কোনও ‘রাজনৈতিক তাৎপর্য’ রয়েছে কি না, তা নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন তিনি। বৈশাখীর কথায়, ‘‘আমি যে কলেজের অধ্যক্ষ ছিলাম, সেই মিল্লি আল আমিন কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে অচলাবস্থা চলছে। আমি জুন মাসে পদত্যাগ করা সত্ত্বেও সেই অচলাবস্থার দায় এখনও আমার উপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। যে হেতু ওই কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ এবং যে হেতু রাজ্যপাল পদাধিকার বলে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, সে হেতু তাঁকে গোটা বিষয়টি জানাব।’’
রাজ্যপালের সঙ্গে হঠাৎ দেখা করতে যাওয়ার কারণ কি শুধু এটুকুই? বিষয়টি শুধুমাত্র কলেজ সংক্রান্ত হলে বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভন কেন তাঁর সঙ্গে? কলেজ সংক্রান্ত বিষয়ে বৈশাখী এর আগে বহু বার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তখন তো শোভনকে সঙ্গে দেখা যায়নি। এ বার শোভনও কেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন? যথারীতি শোভনের তরফে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বৈশাখীও এ সব প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যেতেই চেয়েছেন। তবে শোভন-বৈশাখীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও কথা হবে। রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে রাজ্যপালকে বেশ কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ কথা’ শোভনরা জানাবেন বলে ওই সূত্রের দাবি।
আরও পড়ুন: দলীয় বৈঠকের আগে টুইট করে অনশন আন্দোলনের স্মৃতিচারণ মমতার
আরও পড়ুন: 'না-মানুষ' নাতি, তমলুকের বৃদ্ধ শক্তিপদর বড় শক্তি প্রাণ বাঁচানো 'হোন্ডা'
গত মাসে কলকাতায় এসেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গেও দেখা করতে গিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। সাক্ষাতের সময় একটি ফাইল হাতে নিয়ে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল শোভনকে। বেশ কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ শাহের হাতেও সে দিন শোভন তুলে দিয়েছিলেন বলে পরে জানা গিয়েছিল। শুক্রবার রাজভবনে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর সাক্ষাৎপর্বেও তেমন কোনও আদান-প্রদান হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।