নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ায় শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র
চলতি পর্বের পুরভোটে অশান্তি এবং পক্ষপাত নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আগেই একাধিক মামলা হয়েছে। সোমবার তাতে নতুন সংযোজিত হল কাঁথি পুরসভার মামলা। রবিবার কাঁথিতে কার্যত ভোট লুট হয়েছে বলে অভিযোগ করে এ দিন উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়ে আর্জি জানান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা। মামলা করার অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। অভিযোগ, মাত্রাছাড়া সন্ত্রাস চালিয়ে সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
শুভেন্দু এ দিন নন্দীগ্রামে বলেন, ‘‘প্রধান বিচারপতির কাছে কাঁথির পুরভোট বাতিলের আবেদন জানিয়েছি। তিনি আবেদন গ্রহণ করেছেন। তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দেব, কী করেছেন আপনারা। আর লোকসভা ভোটে কেমন সব হবে, দেখবেন। তত দিন আমি অপেক্ষা করতে দেব না। উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরে বারোটা বাজিয়ে দেব, চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তরুণ মাইতি বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা হাই কোর্টে যেতেই পারেন। তবে কাঁথিতে শান্তিপূর্ণ ভাবেই পুরভোট মিটে গিয়েছে। হাই কোর্ট যা রায় দেবে, মেনে নেবে তৃণমূল।’’
গত বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে নন্দীগ্রামে বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে বলে এ দিন আবার সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘২ মে-র পরে নন্দীগ্রামে যত মামলা হয়েছে, তার বেশ কিছু নথি জোগাড় করেছি। বাকি নথি
সংগ্রহের কাজ চলছে। আগামী
সপ্তাহে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করব। এই সব ঘটনায় সিবিআই অথবা বিচার বিভাগীয় তদন্তের
দাবি জানাব।’’
রবিবার ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন ছিল। কার্যত পাড়ার ভোটেও শাসক দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে হাঙ্গামা এবং পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য পুলিশের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। তবে আমজনতার চোখে অনেক জায়গায় হাঙ্গামা ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ। সাংবাদিকদেরও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শান্তিপূর্ণ ভোট করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ব্যক্তিগত ভাবে দায়বদ্ধ করেছিল হাই কোর্ট। কিন্তু কমিশনার সেই দায়িত্ব পালন করেননি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। চালু মামলাগুলির শুনানিতেও এই প্রশ্ন উঠতে পারে বলে কোর্ট সূত্রের খবর।