Sonarpur Murder

দাম্পত্যে অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন, জেরায় জানাল অভিযুক্ত

ধৃত ভোম্বলের আরও দাবি, ছেলের জন্মের পর থেকেই তার সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। স্ত্রীর অন্য ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলেও তার দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩ ০৭:৫৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

স্ত্রীর অন্য সম্পর্ক রয়েছে, সেই সন্দেহে গোলমাল লেগেই ছিল। আর সেই গোলমালই দু’জনের দাম্পত্য জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। খুনের আগের রাতে দাম্পত্য জীবনে ঘনিষ্ঠতা নিয়েই ফের তুমুল অশান্তি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তার জেরেই পরেরদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় স্ত্রী টুম্পাকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ভরে দেয় অভিযুক্ত ভোম্বল মণ্ডল। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে ওই তথ্য জানা গিয়েছে বলে সিআইডি সূত্রের খবর।

Advertisement

সূত্রের খবর, ধৃত ভোম্বলের আরও দাবি, ছেলের জন্মের পর থেকেই তার সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। স্ত্রীর অন্য ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলেও তার দাবি। সে আরও জানিয়েছে, এর জন্য সব সময়ে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন টুম্পা। লকডাউনে দু’জনেই বাড়িতে থাকতেন। সে সময়ে টুম্পার মোবাইলে কথা বলা নিয়ে দু’জনের মধ্যে গোলমাল লেগে থাকত। সেই গোলমালই চূড়ান্ত রূপ নেয় ঘটনার দিন। তবে ২০২০ সালের মার্চ মাসে কবে টুম্পাকে খুন করে সে, সেই দিনটি নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি ধৃত।

সিআইডি জানিয়েছে, সোনারপুর মিশনপল্লির ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে যে হাড় উদ্ধার হয়েছে, তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে আদালতের নির্দেশ মেনে হবে ময়না তদন্তও। সূত্রের দাবি, টুম্পার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই ওই ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।

Advertisement

২০২০ সালের এপ্রিল মাসে টুম্পার বাবা সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে, তাঁর মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ ভোম্বলকে গ্রেফতার করলেও টুম্পার খোঁজ পায়নি। চলতি মাসে টু্ম্পার বাবার দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্ট সিআইডি-কে ওই মামলার তদন্তভার দেয়। গত বৃহস্পতিবার সিআইডি-র মিসিং পার্সনস বুরোর তদন্তকারীরা ভোম্বলকে জেরা করে জানতে পারেন, টুম্পাকে খুন করার পরে ওই ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ভরে দিয়েছে সে। পরে সেখান থেকে মাথার খুলি-সহ বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে নিখোঁজের মামলায় খুনের ধারা যুক্ত করে ভোম্বলকে গ্রেফতারকরা হয়। বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে রয়েছে ধৃত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement