—প্রতীকী ছবি।
কচি কচি মুখ কাঁচুমাচু করে তারা গিয়েছিল প্রধান শিক্ষক বিজন ঘোষের ঘরে। তখন সেই ঘরে বসে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপনারায়ণ সিনহাও। তিনি ওই পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাদের সঙ্গে কী হয়েছে? দীপনারায়ণ বলেন, “এমন উত্তর যে ওদের থেকে পাব, তা ভাবতেও পারিনি।” দীপনারায়ণের অভিযোগ, “ওই স্কুল অর্থাৎ মধ্য মাদারিহাট জুনিয়র বেসিক স্কুল লাগোয়া রয়েছে মাদারিহাট এসটি আশ্রম হস্টেল। যে ছাত্রাবাসের আবাসিক ছেলেদের একাংশ বুধবার আমাকে অভিযোগ করে, তাদের উপরে অত্যাচার চলছে। প্রতিবাদ করলেই গালিগালাজ করা হয়। ছাত্রাবাসের রাঁধুনি তাদের মারধর করেন।” হস্টেলের আবাসিক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রদের একাংশ অভিযোগ করে, “পেট ভরে আমাদের খেতে দেওয়া হয় না। উল্টে কেউ খাবার চাইলে তার হাতের উপরে গরম ডাল ঢেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কয়েক মাস ধরেই আমাদের উপরে অত্যাচার চলছে।” এ নিয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “এটা প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অভিযু্ক্ত রাঁধুনি প্রেম ওরাওঁ অবশ্য বলেন, “আমি ২৭ বছর ধরে এখানে কাজ করছি। সব অভিযোগ মিথ্যা।”