Junior Doctors' Movement

এ বার ‘গণইস্তফা’র হুঁশিয়ারি হুগলির সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে আরজি করে সিনিয়র চিকিৎসকেরাই প্রথম ‘গণইস্তফা’র পথে হাঁটেন। পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের বহু চিকিৎসকই ‘গণইস্তফা’ দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৬
Share:

ধর্মতলায় অনশনমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারেরা। —ফাইল ছবি।

কলকাতার চিকিৎসকদের ‘গণইস্তফা’র আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও একই পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। এ বার হুগলির এক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকেরা বিবৃতি দিয়ে সরকারকে জুনিয়র ডাক্তারদের কথা ভাবার অনুরোধ করলেন। সেই সঙ্গে এ-ও জানিয়ে রাখলেন, সরকারের তরফে যদি কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা না যায়, তবে তাঁরাও ‘গণইস্তফা’ দিতে বাধ্য হবেন।

Advertisement

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে আরজি করে সিনিয়র ডাক্তারেরাই প্রথম ‘গণইস্তফা’র পথে হাঁটেন। পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের বহু চিকিৎসকই ‘গণইস্তফা’ দেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরাও ‘গণইস্তফা’র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ বার হুগলির আরামবাগের প্রফুল্লচন্দ্র সেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ৩৮ জন সিনিয়র ডাক্তার একই পথে হাঁটার কথা ভাবনাচিন্তা করছেন।

ওই হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তরেরা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ন্যায্য। সেই দাবি মানার জন্য সরকারকে অনুরোধ করলেন তাঁরা। পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে রাখলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যের কথা অগ্রাধিকার দিয়ে ভাবা উচিত সরকারের। দ্রুত পদক্ষেপ করারও আহ্বান জানান তারা। না হলে ‘গণইস্তফা’ দিতে বাধ্য হবেন বলেও জানান প্রফুল্লচন্দ্র সেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা।

Advertisement

গত শনিবার থেকে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর সাত জন প্রতিনিধি ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ধর্মতলায়। প্রথমে ছ’জন অনশনে বসেছিলেন। পরে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোও যোগ দেন আমরণ অনশন কর্মসূচিতে। যদিও বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়াগুলিকে শুরু থেকেই সমর্থন জানিয়ে এসেছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির সময়ে রোগীর চাপ সামাল দিয়েছেন তাঁরাই। প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় কাজ করেছেন। সিনিয়রদের পরামর্শেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আন্দোলনের অন্য পন্থা খুঁজতে আলোচনা করেছেন জুনিয়রেরা। ধর্মতলায় অনশনকারীদের পাশেও প্রতীকী অনশনে বসতে দেখা গিয়েছে সিনিয়র ডাক্তারদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement