—প্রতীকী ছবি।
মাঝে কয়েক মাস পাচার বন্ধ ছিল। বর্ষাকাল শুরু হতেই মু্র্শিদাবাদে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাচারকারীরা। গত কয়েক দিনে পাচার রুখতে গিয়ে বিএসএফকে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। আত্মরক্ষায় গুলিও চালাতে হয়। এই আবহে রবিবার বিএসএফের নতুন আইজি (দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার) মনিন্দর পি এস পাওয়ার বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা চৌকিগুলি পরিদর্শন করেন।
বিএসএফের জনসংযোগ আধিকারিক এ কে আর্য বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে আমরা একাধিক বার পতাকা বৈঠক করা সত্ত্বেও তারা সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না। পাচারকারীরা গত ১০ দিন ধরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’’ বিএসএফ জানায়, গত শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের রানিনগরে টহলরত জওয়ানেরা কয়েক জন সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারকারীকে সীমান্তের দিকে আসতে দেখেন। বিএসএফ রুখে দাঁড়ালে কাঁটাতারের এ পাড়ে থাকা তাদের সহযোগীরা ছুরি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। পাল্টা দু’ রাউন্ড গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তখন পাচারকারীরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পাট খেতের মধ্যে দিয়ে পালায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি গাড়ি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়। গত রবিবারও একই জায়গায় বাংলাদেশি পাচারকারীর হামলার মুখে পড়েছিল বিএসএফ। গুলি ছুড়ে তারা পাচার রুখে দেয়। সীমান্তের গ্রামগুলিতে বর্তমানে পাট গাছ কয়েক ফুট লম্বা হয়ে গিয়েছে। এই সুযোগে সেখান দিয়ে গবাদি পশু পাচার করতে চেষ্টা করছে পাচারকারীরা। সীমান্তে টহলের দায়িত্বে থাকা বিএসএফের এক জওয়ান বলেন, ‘‘রানিনগর সীমান্তের ওই এলাকাটি ইংরেজি ইউ আকৃতির মতো। দু’পাশে দু’টি বাংলাদেশি গ্রাম, মাঝখানে কিছুটা ভারতীয় ভূখণ্ড রয়েছে। এই ভূখণ্ড দিয়ে নানা সময় গরু, মাদক পাচারের চেষ্টা হয়।’’ বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বর্ষায় প্রতি বার সক্রিয় হয়ে ওঠে পাচারকারীরা। আগেও এমন পরিস্থিতির মুখে আমরা পড়েছি।’’