বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার প্রাথী অনন্ত মহারাজ। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যসভা নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূলের ছ’জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেন। বুধবার বিধানসভায় এসে সহ-সচিবের কাছে মনোনয়ন দাখিল করেন তাঁরা। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, রাজ্যসভার উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায়, শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন, সমাজকর্মী সামিরুল ইসলাম ও সাকেত গোখলে এবং আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক। ঘটনাচক্রে বুধবার রাজ্যসভার মনোনয়ন দিতে এসে নিজের স্ত্রী বিয়োগের খবর পান সুখেন্দুশেখর। তাই সবার আগে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি রওনা দেন টাটা ক্যানসার হাসপাতালের উদ্দেশে। সেখানেই তাঁর স্ত্রী মহাশ্বেতা রায় প্রয়াত হয়েছেন। পরে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দেন ডেরেক, দোলা, প্রকাশ, সামিরুল ও সাকেত। দলের প্রার্থীদের জয় প্রসঙ্গে আশাবাদী তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ, এ বার যে ছ’টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে তার পাঁচটিতে জয় নিশ্চিত তৃণমূল প্রার্থীদের।
একটি আসনে বুধবারই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই আসনে তাদের প্রার্থী হয়েছেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অনন্ত মহারাজ। বুধবার বিধানসভায় আসেন বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিলের যাবতীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করেন তিনি। শুভেন্দু জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। বেলা ১১টা নাগাদ তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন অনন্ত ব্যতীত আর কোনও প্রার্থীকে রাজ্যসভা নির্বাচনে দাঁড় করাবে না বিজেপি। তাই কোনও রকম নির্বাচন ছাড়াই তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ ও বিজেপির এক জন প্রার্থী সহজেই জয়ী বলে ঘোষিত হবেন। ১৯৮০ সালে বিজেপি গঠনের পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোন রাজ্যসভা সাংসদ পেতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
বিধানসভা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কোনও অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা না পড়লে আগামী ১৭ জুলাই স্ক্রুটিনি পর্বের পরেই ছ’জন প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করে দেওয়া হবে। ওই দিনই তাদের হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে। এই ছ’টি আসন ছাড়াও আরও একটি রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সমাজকর্মী সাকেতকে। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোর পদত্যাগের কারণে এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। নিজের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে সাকেত বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্তনীতির সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা সংসদে তুলে ধরাই হবে আমার কাজ।’’