BJP

BJP: প্রশিক্ষণ শিবিরে নেই ছয় বিজেপি সাংসদ

সোমবার দুপুর দুটো থেকে প্রশিক্ষণ শিবিরের কাজ শুরু হয়। প্রথম দিনের শিবির ৪৫ মিনিটের পাঁচটি পর্বে ভাগ করা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২২ ০৭:১৮
Share:

বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির। নিজস্ব চিত্র।

বিলাসবহুল রিসর্টে বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজারহাটের রিসর্টে সোমবার থেকে রাজ্য বিজেপির তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হল। রাজ্য বিজেপির ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয় শিবিরে আছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই বঙ্গে বনসলের প্রথম কর্মসূচি। তবে শিবিরে তিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ও বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া উপস্থিত ছিলেন না। যা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বিজেপি নেতারা। অনুপস্থিতদের নিয়ে দল জবাব চেয়েছে বলেই সূত্রের খবর।

Advertisement

এ দিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মেয়ো রোডের সমাবেশ থেকে মমতা বলেন, “বাবুরা আবার বৃন্দাবনে গিয়েছে। বেদান্তে নাকি রাজনৈতিক চিন্তন করছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। ওখানে চিন্তন হচ্ছে না ক্রন্দন হচ্ছে, সেটা আগামী দিনে বোঝা যাবে। ভোটের আগে কলকাতার হোটেলগুলোতে কী হয়েছিল, সেই খবর আমরা রাখি।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, “আমাদের সাংগঠনিক দল। তাই শিবিরের প্রয়োজন হয়। ওঁর দল তো চুরি করবে। চুরি করতে গেলে আবার চিন্তনলাগে নাকি?”

এ দিন দুপুর দুটো থেকে প্রশিক্ষণ শিবিরের কাজ শুরু হয়। প্রথম দিনের শিবির ৪৫ মিনিটের পাঁচটি পর্বে ভাগ করা ছিল। দেশ ও রাজ্যে গেরুয়া রাজনীতির ইতিহাস ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর মোদী সরকারের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করেন দিলীপ।

Advertisement

শিবির চলাকালীন প্রতিনিধিরা এই রিসর্টেই রাত্রিবাস করবেন। দুপুরে পাতে ভাত, শুক্তো, ডাল, তিন রকমের স্যালাড, কাতলা মাছ, মুরগির মাংস, চাটনি, মিষ্টি ও আইসক্রিম ছিল। এ ছাড়া তিন রকমের ফলের রস, দই বড়াও ছিল। এ দিন রাত পর্যন্ত চলে শিবিরের কাজ। সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় যোগাসনের মধ্য দিয়ে শিবিরের কাজ শুরু হবে। এ দিন শিবিরের শেষ পর্বে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যে সুযোগ আসছে, তা রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে। সংগঠন আগে। আবেগে ভেসে যাবেন না। বুথ কমিটি তৈরি করায় জোর দিন।”

তবে আয়োজনের বাহুল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। সঙ্গীতা চক্রবর্তী নামের একজন নিজেকে আরএসএস কর্মী বলে দাবি করে ফেসবুকে লেখেন, হুগলিতে বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূলের চাপে এক জন আত্মহত্যা করল। আর নেতারা সাত তারায় চিন্তন বৈঠকের নামে ফুর্তি করছেন। এই নিয়ে কথা বলার তাঁদের সময় নেই। প্রসঙ্গত, এঁকেই তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রকাশ্যে গাঁজা কেসে ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছিলেন। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, “বৈভব কোথায়? ভেতরে তো যাননি। কী করে জানবেন? এটা ঠিক বহু আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি। বিরোধী দল হিসাবে শাসক দলের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি। তবে পার্টির মনে হয়েছে, সবাইকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে বার্তা দেবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement