শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
কয়েক মাস আগেও বলেছিলেন। সোমবারও একই কথা বললেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন সিঙ্গুরে সভা ছিল তাঁর। সেখানে জমি আন্দোলন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দোষারোপ করেন শুভেন্দু। সিঙ্গুরের আন্দোলন থেকে নিজের দূরত্ব রাখারও চেষ্টা করলেন। আর এ প্রসঙ্গে সিপিএম প্রশ্ন তুলছে শুভেন্দুর ‘বোধোদয়’ নিয়ে। তৃণমূলও দোষ দিচ্ছে শুভেন্দুকেই।
কাল, বুধবার কলকাতায় বিজেপির সভা। এ দিন সন্ধ্যায় বুড়োশান্তি মাঠে তার প্রস্তুতিসভা করেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের আন্দোলন এক নয়।’’ তাঁর মতে, সামান্য কিছু বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্পের বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ‘উদারতা’ এবং রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ‘ভদ্রতা’র সুযোগ নিয়ে তিনি শিল্প তাড়ান। মমতার ২৬ দিনের অনশন নিয়ে তাঁর তোপ, ‘‘চকলেট-স্যান্ডউইচ খাওয়া কলকাতার আন্দোলনে যাইনি। প্রতিদিন ডাকত বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। এক দিন গিয়ে কুড়ি মিনিট বক্তৃতা দিয়েছিলাম।’’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, ‘‘সিঙ্গুর নিয়ে শুভেন্দুর কথায় বোধোদয়ের সুর কেন?’’ সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্নার পাল্টা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভে বিজেপিতে গিয়েছেন। বৈধ না হলে সুপ্রিম কোর্ট এই আন্দোলনের পক্ষে রায় দিত না।’’ তিনি জানান, ওই মাঠে আজ, মঙ্গলবার সভা তৃণমূলের।