চৈত্রেও জ্যাকেট গায়ে শিলিগুড়ি

বিকেল পৌনে চারটে। কালো মেঘে ঢাকা বালুরঘাটের আকাশে। যে কোনও সময়ে বৃষ্টি নামার আশঙ্কায় পথচারিরা হাতে ছাতা নিয়ে হাঁটছেন। বেশ কিছু ব্যবসায়ী দোকানের সামনে পলিথিন টাঙাতে ব্যস্ত। তহবাজার এলাকার এক দোকানির কথায়, ‘‘ভর চৈত্রে এমন দশা আগে কবে দেখেছি বলতে পারব না।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২৩
Share:

বিকেল পৌনে চারটে। কালো মেঘে ঢাকা বালুরঘাটের আকাশে। যে কোনও সময়ে বৃষ্টি নামার আশঙ্কায় পথচারিরা হাতে ছাতা নিয়ে হাঁটছেন। বেশ কিছু ব্যবসায়ী দোকানের সামনে পলিথিন টাঙাতে ব্যস্ত। তহবাজার এলাকার এক দোকানির কথায়, ‘‘ভর চৈত্রে এমন দশা আগে কবে দেখেছি বলতে পারব না।’’

Advertisement

সেই একই সময়ে শিলিগুড়িতে মোটরবাইক আরোহীদের গায়ে পাতলা জ্যাকেট। সকাল থেকে বেশ কয়েকবার ইঁলশেগুড়ির পরে হাওয়ায় হিমেল ছোঁয়া। গাড়ির পেছনের লাল আলোর ছায়া দেখা যাচ্ছে রাস্তার ভেজা পিচে। কোচবিহারে তখন জ্বলে উঠেছে রাস্তার আলো। কারণ মেঘলা আকাশ দিনের আলোও শুষে নিয়েছে অনেকটাই। বৃষ্টির আশঙ্কায় ফুটপাতে অনেক দোকানই বসেনি।

একই সময়ে এমন তিন ছবিই দেখা গেল উত্তরের তিন শহরে। যা আদতে দক্ষিণের ঠিক বিপরীত। ভ্যাপসা গরম বা রোদের হলকা নয়, শেষ চৈত্রে উত্তরবঙ্গে হিমের পরশ। শিলিগুড়ি থেকে মালদহ, মঙ্গলবারে উত্তরবঙ্গের দিনের তাপমাত্রা ছিল গড়ে ৫ ডিগ্রি কম। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মালদহের তাপমাত্রা কমে গিয়েছে দশ ডিগ্রি। মালদহে বৃষ্টি না হলেও জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়িতে সকাল থেকেই বৃষ্টি হয়েছে। কখনও ইলশেগুঁড়ি, কখনও বা মাঝারি। এর জেরেই তাপমাত্রা কমেছে শহরের। হাওয়ায় ছিল হিমেল ভাব। সমতলে যখন বৃষ্টি হয়েছে সে সময়ে পাহাড়ে তুষারপাতও হয়েছে। উঁচু হিমালয়ের তুষার ছুঁয়ে আসা হাওয়ায় কনকনে ভাব ছিল। তার জেরেই তাপমাত্রা কমেছে লাগোয়া সমতলে। মেঘ ঢেকে আলো কমে যাওয়ায় দুপুরের পরে শহর ও লাগোয়া জাতীয় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে বাইক-গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

পাহাড়ে এ দিন ছিল ঘন কুয়াশা। দার্জিলিং-মিরিকে কুয়াশায় পাকদণ্ডি পথ ঢেকে যাওয়ায় ধীরগতিতে যান চলাচল করেছে। এই সপ্তাহের শুরু থেকেই সিকিমেও বৃষ্টি চলেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সপ্তাহের বাকি দিনগুলিও এমনই পরিস্থিতি থাকবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরের আকাশে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখা দুই-ই অবস্থান করছে। এই দুইয়ের সাঁড়াশি চাপেই আকাশে কালো মেঘ জমেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘ঘূর্ণাবর্তটি ধীরগতিতে সরছে। পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাতও চলবে।’’ ইংরেজি বছরের মতোই তাই বাংলা বর্ষশেষেও উত্তরের প্রাপ্তি হিমের পরশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement