ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসছে। তার আগে, প্রায় আড়াই বছর বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা বিকাশ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করলেন সেখানকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দু’জনের কথা হয়। সংশোধনাগার থেকে ফিরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিকাশবাবু তৃণমূলের অত্যন্ত ভাল সংগঠক। তাঁকে রাজ্যের প্রায় সব নেতাই চেনেন। তিনি আমার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। বিধানসভা ভোটে মঙ্গলকোটে তাঁকে খুব প্রয়োজন।’’ সেই সঙ্গে মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘এ রকম এক জন নিরীহ মানুষকে মামলায় জড়িয়ে কী ভাবে জেল খাটানো হচ্ছে, তার কূলকিনারা পাচ্ছি না!’’
২০১৭ সালের ১৯ জুন মঙ্গলকোটের নিগনে খুন হন তৃণমূলের শিমুলিয়া অঞ্চল সভাপতি সানাউল্লা ওরফে ডালিম শেখ। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এই খুন দাবি করে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লার ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য বিকাশবাবু-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। সেপ্টেম্বরে সিআইডি ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ বর্ধমানের উল্লাস মোড়ের কাছে সিআইডি বিকাশবাবুকে গ্রেফতার করে।
এ দিন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা দাবি করেন, “বিকাশবাবু খুবই অসুস্থ। বুকে পেসমেকার বসানো রয়েছে। ওঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমি উদ্বেগে রয়েছি। আমি চাই, বিকাশবাবুর সঙ্গে যাঁরা মিথ্যা অভিযোগে জেল খাটছেন, তাঁদেরও মুক্তি দেওয়া হোক।’’ মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা চেয়ারম্যান ইন্তেকাব আলম। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিকাশবাবু মন্ত্রীর কাছে তাঁদের বিষয়টি দেখার জন্যে দাবি জানিয়েছেন। মন্ত্রী তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আনবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’’
তৃণমূলের মঙ্গলকোটের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘দলের কর্মীর সঙ্গে বিধায়ক দেখা করতেই পারেন। এ নিয়ে কিছু বলার নেই।’’