ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে স্থান পেলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। শেষ কয়েক দিন ধরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে নিয়ে। ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পরই মানভঞ্জনে নামে তৃণমূল। শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর চওড়া হাসি নিয়ে বেরিয়ে শতাব্দী জানিয়ে দেন, ক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে। দিল্লি লাইন ছেড়ে ফের তৃণমূলে ইউ-টার্ন নেয় শতাব্দী এক্সপ্রেস। পরে ফেসবুক পোস্টে দলের প্রতি তাঁর অনুগত্য যেন আরও বেশি করে ঝরে পড়ে। আর তার মধ্যেই তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে আসার এই খবর।
বাকি সদস্যরা একই থাকলেও নতুন করে ৩ জনকে সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করল তৃণমূল। তার প্রথম নামটি মোয়াজ্জেম হোসেন। তারপর শতাব্দী রায় ও শেষে শঙ্কর চক্রবর্তী। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ৩ জনকে সাংগঠনিক পদে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আগামী দিনে কাজ করার জন্যও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে দলবদলের তালিকায় শতাব্দী যাতে নাম না লেখান, সেই ব্যবস্থা ‘পাকা’ করল তৃণমূল। এর মধ্যে দিয়ে যেন ‘বুঝিয়ে’ দেওয়া হল, তোমার দলের প্রতি ভরসা আছে, প্রতিদানে দলও তোমাকে ভরসা করছে।
শতাব্দীর পদোন্নতিতে এক দানে দুই অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে চেষ্টা করল তৃণমূল। এক দিকে বিক্ষুব্ধ বীরভূমের সাংসদের ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত করা, আবার অন্য দিকে যাঁরা দল বদলনোর কথা ভাবছিলেন, তাঁদের ‘বার্তা’ দেওয়া। ‘বার্তা’টি এই যে দলে আনুগত্য থাকলেই উন্নতি সম্ভব। তাই নতুন দলে না গিয়ে দলের মধ্যেই নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলা বুদ্ধিমানের কাজ।
এ ছাড়াও তৃণমূলের বেশ কয়েকটি জেলাস্তরের সাংগঠনিক পরিবর্তন হয়েছে রবিবার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির জেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন বিপ্লব মিত্র, জেলা সভাপতি হয়েছেন গৌতম দাস। জেলা কো-অর্ডিনেটর হয়েছেন সুভাষ চাকি, ললিতা তিগ্গা ও মুখপাত্র হয়েছেন জয়ন্ত দাস।
পরিবর্তন করা হয়েছে মালদহ জেলা কমিটিতেও। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। জেলা সভাপতি হয়েছেন মৌসম নুর। জেলার কো-অর্ডিনেটর হয়েছেন, অম্লান ভাদুড়ি, দুলাল সরকার, মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবিনা ইয়াসমিন এবং হেমন্ত শর্মা। এই জেলার মুখপাত্র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন শুভময় বসু। মালদহ জেলার কোর কমিটিতে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবিত্রী মিত্র-সহ প্রধান কমিটির অনেকেই রয়েছেন।
আরও পড়ুন:দরজা ছোট হচ্ছে, বন্ধও হবে: দিলীপ