(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শরদ পওয়ার। —ফাইল ছবি।
রাজ্য বিধানসভায় মঙ্গলবার আনা হয়েছে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। আলোচনায় শাসক-বিরোধী কাজিয়া হলেও সর্বসম্মতিক্রমেই সেই বিল পাশ হয়েছে। তার পর মহারাষ্ট্রেও একই রকম বিল চাই বলে দাবি তুললেন এনসিপি সভাপতি শরদ গোবিন্দ পওয়ার। পওয়ারের কথা ধরেই তৃণমূল বলেছে, বাংলাই সব সময়ে দেশকে পথ দেখায়।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে পওয়ার বলেন, ‘‘বাংলায় যে বিল আনা হয়েছে, তাতে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের উল্লেখ রয়েছে। মহলারাষ্ট্রেও সেই রকম বিল নিয়ে আসা প্রয়োজন।’’ পওয়ারের ওই বক্তব্য তুলে ধরে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা লেখেন, ‘‘বাংলা পথ দেখায়।’’ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মঙ্গলবার যে বিল পাশ হয়েছে তা ইতিহাস তৈরি করেছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই বিলের মতো বিল আনার চিন্তুাভাবনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শরদ পওয়ারের মতো নেতা মহারাষ্ট্রে এই রকম বিলের দাবি তুলেছেন।’’ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও বলেছেন, ‘‘নারী সুরক্ষায় যে নজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন তাকে সমর্থন করেছেন জাতীয় স্তরের নেতা শরদ পওয়ারও। এ থেকেই স্পষ্ট, বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশকে কাল তা ভাবতে হয়।’’
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে যখন রাজ্য উত্তাল, তখন তৃণমূলের তরফে সংসদে কঠোর আইনের দাবি তোলা হয়েছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ-ও বলেছিলেন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় কেন্দ্রের শাসকদল যদি দ্রুত বিচার পক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্ত শাস্তির বিল না আনে, তা হলে তিনি সাংসদ হিসাবে ব্যক্তিগত ভাবে বিল আনবেন। তার পরবর্তী সময়ে রাজ্য বিধানসভায় বিল আনার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এ বার সেই বিলের জাতীয় স্তরে প্রভাব কতটা, তা তুলে ধরতে চাইল তৃণমূল।