শঙ্কর আঢ্য। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর বাড়ি ফিরলেন শঙ্কর আঢ্য। ফিরে আসার পর অনুগামীদের উচ্ছ্বাস দেখে ‘অভিভূত’ বনগাঁ পুরসভার এই প্রাক্তন পুরপ্রধান। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা জানিয়ে তিনি দাবি করলেন, কয়েক জন রাজনীতিকের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আট মাস তাঁকে জেলে থাকতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত কিছু রাজনীতি থেকে দূরে সরে থাকারও ইঙ্গিত দিয়েছেন শঙ্কর।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত শঙ্কর, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ও বিশ্বজিৎ দাসের জামিন মঙ্গলবার মঞ্জুর করেছেন বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়। তার পর বুধবার বাড়ি ফিরেছেন শঙ্কর। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও হয়েছেন। সেখানে শঙ্কর জানান, আপাতত সংসারের কাজে মন দিতে চান তিনি। সেই সঙ্গে সামাজিক কর্তব্য পালন করবেন। তার জন্য যে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতেই হবে, তেমনটা নয় বলেই মনে করেন শঙ্কর। এ-ও জানান, তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
২০১০ সাল থেকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত শঙ্করই ছিলেন বনগাঁ পুরসভায় এবং শহরে দলে শেষকথা। জেলায় তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রেশন দুর্নীতি মামলায় আর এক ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (বালু) ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন। বনগাঁয় পরিচিত ছিলেন বালুর ‘ডান হাত’ হিসাবেই। তবে বছর কয়েক ধরেই শঙ্করের ‘আধিপত্য’ কমছিল। গত অক্টোবরে রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় বাকিবুরকে গ্রেফতার করছিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই বাকিবুরের সূত্র ধরেই কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করা হয়। ইডির দাবি ছিল, বাকিবুরের মাধ্যমেই জ্যোতিপ্রিয় রেশন দুর্নীতি চালাতেন। সেই সূত্রেই শঙ্কর ও বিশ্বজিতের নাম জড়ায়। বাকিবুর, শঙ্কর ও বিশ্বজিৎ জামিন পেলেও বালু এখনও জেল হেফাজতে।