সাংবাদিক বৈঠকে সৃজন ভট্টাচার্য —নিজস্ব চিত্র
১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বামেরা। পাশাপাশি শুক্রবার ছাত্র ধর্মঘটেরও ডাক দিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। বামেদের ডাকা ওই হরতালে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনও। শুক্রবারই রাজ্যে খুলছে স্কুল। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। কিন্তু স্কুলে গেলে ছাত্রছাত্রীদের বাধা দেওয়া হবে বলেও জানান এসএফআই কর্মীরা।
রাজ্যে নয়া শিল্প স্থাপন, বেকারত্ব বৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বাম-কংগ্রেসের ১০টি ছাত্র ও যুব সংগঠন। এসএন ব্যানার্জি রোডে সেই অভিযানে বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে, তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে বামেরা। পাশাপাশি ছাত্র ধর্মঘটও হবে বলে জানায় এসএফআই। এসএফআইয়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এত দিন স্কুল বন্ধ ছিল। আমরা বার বার বলা সত্ত্বেও সরকার স্কুল খোলেনি। তারই প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলন ছিল। যে হেতু শুক্রবার থেকে স্কুল খুলছে, তাই আমরা ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ছাত্র ধর্মঘটকে উপেক্ষা করে কেউ যদি স্কুলে আসেন, তবে আমরা বাধা দেব। আমাদের অবস্থান বিক্ষোভে শামিল করাব।’’
এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে ছাত্র পরিষদও। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ বলেন, ‘‘ওই আন্দোলনে বৃহস্পতিবার আমরাও ছিলাম। আমাদেরও অনেক কর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের দাবিও এক ছিল। তাই এই ছাত্র ধর্মঘটকে সমর্থন করব।’’ শুক্রবারের ছাত্র ধর্মঘটকে নৈতিক সমর্থন জানায় অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
অন্য দিকে, ছাত্র ধর্মঘট নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই সতর্ক প্রশাসন। কোথাও যাতে ছাত্ররা বিক্ষোভের মুখে না পড়েন সে দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে।