—প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনবিধি ভঙ্গ করে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের একাধিক প্রকল্পে প্রায় ৬০ কোটি টাকার দরপত্রের আর্থিক বিড খোলার অভিযোগ উঠেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়ে গেলেও ওই বিড সাধারণ মানুষকে অবগত করতে প্রকাশিত হয়েছে মৎস্য দফতরের ওয়েবসাইটে।
টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি বিস্তারিত অভিযোগ পান মৎস্য দফতরের সচিব রোশনি সেন। দফতর সূত্রের খবর, তিনি অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে রোশনি বলেন, ‘‘পুরনো টেন্ডার প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশ্বনাথকে গত ২২ মার্চ নিগমের পদ থেকে সরানো হয়। অভিযোগ, তারপরেও তিনি ৬০ কোটি টাকার দরপত্রের মূল্যায়ন করেন। এমনকি মৎস্য দফতরের টেন্ডার কমিটিকে অন্ধকারে রেখেই এই কাজ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘পুরো কাজটি নিয়ম মেনেই হয়েছিল। চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সম্মতি নিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ হয়েছিল।’’
মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘একাধিক প্রকল্পের ৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন দরপত্রের যে আর্থিক বিড খোলা হয়েছিল তার দরপত্র নির্বাচনবিধির অনেক আগেই আহ্বান করা হয়েছিল। তা হলে নিগমের পদ থেকে সরানোর পরে বিশ্বনাথ কেন নিজে উদ্যোগী হয়ে দরপত্রগুলির মূল্যায়ণের কাজ শুরু করেছিলেন? কেন তিনি নিগমের দায়িত্ব থাকা অবস্থায় তা করেননি? তা হলে কি দরপত্রে অংশগ্রহণকারী একাধিক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই ‘রাতারাতি’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল?’’
বিশ্বনাথ বর্তমানে মৎস্য দফতরের অধিকর্তা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি মৎস্য দফতরের রিভিউ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে বিশ্বনাথকে ভর্ৎসনাও করেন দফতরের সচিব রোশনি।
মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, ৬০ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যে অস্বচ্ছতা প্রকাশ্যে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের শঙ্করপুরে ফিশিং পোতাশ্রয়ের আধুনিকীকরণ এবং সংস্কারের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত দুবদা খালের উন্নতির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া। বিষয়টি নিয়ে দফতরের কর্মীরা সচিবকে বিস্তারিত লিখে জানান। অভিযোগপত্রে জানানো হয়, ৩-৪টি সংস্থাকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে রাতারাতি ৬০ কোটি টাকার টেন্ডার মূল্যায়ণের কাজ করা হয়েছিল।