গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে চলেছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
এর পর ওই ঘূর্ণিঝড় আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে। আলিপুর আবহাওয়ার দফতর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ওই গভীর নিম্নচাপের অবস্থান এ দিন বিকেল তিনটে নাগাদ ছিল কলকাতা থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দূরে। ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিলে তার নাম হবে বুলবুল। এই নাম পাকিস্তানের দেওয়া।
বুলবুলের গতিপথ
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীসই, জল্পনা উড়িয়ে বললেন গডকড়ী, সেনা বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হল হোটেলে
এ দিন মধ্য রাতেই গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণঝড়ের আকার নেবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার সকালের দিকে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। শনিবার তা অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে পশ্চিমঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। যদিও আলিপুরের আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এ দিন বিকেল পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না, ঠিক কোন জায়গায় বুলবুল আছড়ে পড়বে। তার গতিবেগই বা কত থাকবে তা নিয়েও স্পষ্ট কিছু জানায়নি হাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বৃষ্টি হবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। তার জেরে দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, বকখালিতে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে। শুক্রবার থেকেই আকাশ মেঘলা থাকবে। ওই দিন রাত থেকেই কোথাও কোথাও বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-ঘূর্ণিঝড়ের সাতকাহন
বৃহস্পতিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়ার বিষয়ে এ রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম পূর্বাভাস পাওয়ার পর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে পর্যটকদেরও। যে সব মৎস্যজীবী এখনও সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসতে বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদেশবাসের উচ্চাকাঙ্ক্ষা! আত্মীয় ডাক্তার পরিবারের সকলকে খুন করে লুঠের ছক কষেছিল টিয়া