sandeshkhali

পুলিশের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগ ধৃত সাত জনের

সিবিআইয়ের একাংশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় সব সত্য কথা বলবেন এমন নয়। তবে জিয়াউদ্দিনের মুখোমুখি বসিয়ে ওই সাত জনকে জেরা করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ০৭:২৭
Share:

সন্দেশখালিতে উত্তেজনা। —ফাইল চিত্র।

শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে ইডি অফিসারদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তড়িঘড়ি সাত জনকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। কোর্টের নির্দেশে পুলিশের নাগালের বাইরে সিবিআইয়ের হেফাজতে এসে পাল্টা অভিযোগ করেছেন ওই সাত জন। সিবিআই সূত্রের দাবি, ধৃতেরা জেরায় দাবি করেছেন যে রাজ্য পুলিশ তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। জিয়াউদ্দিন মোল্লা নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথায় তাঁরা থানায় যান। তার পরেই হাজতবন্দি করা হয়।

Advertisement

সিবিআইয়ের একাংশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় সব সত্য কথা বলবেন এমন নয়। তবে জিয়াউদ্দিনের মুখোমুখি বসিয়ে ওই সাত জনকে জেরা করা হয়েছিল। তাতে সাত জনের দাবির প্রাথমিক সত্যতার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তবুও এই বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একাংশ এ ব্যাপারেও নিশ্চিত যে ওই সাত জন নেহাতই চুনোপুঁটি, হামলার চক্রী নন।

পুলিশ সূত্রের খবর, ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি-র উপরে হামলার ঘটনায় শাহজাহান ও তাঁর অনুচরদের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের হয়। ন্যাজাট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা করে। অন্য মামলাটি হয় ইডি-র ডেপুটি ডিরেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে। পুলিশের করা মামলাটিতেই সুকুমার সর্দার, মেহেবুব মোল্লা, সঞ্জয় মণ্ডল, আলি হোসেন ঘরামি, আমানুল শেখ, আইজুল শেখ ও হাজি নুর শেখ নামে সাত জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি ওই দ্বিতীয় মামলায় জেল হেফাজতে থাকা সাত জনকে নিজেদের কাছে নিয়েছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর, ধৃতেরা জেরায় দাবি করেছেন যে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সরবেড়িয়া আগারহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা তাঁদের থানায় দেখা করতে বলেন। থানায় হাজিরার পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। জিয়াউদ্দিনও বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে। তাঁকে ওই সাত জনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে।

Advertisement

ওই সাত জনের যে অভিযোগ সে ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের স্পষ্ট কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। বসিরহাট জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’’ তবে সিবিআইয়ের খবর, ওই মামলায় ন্যাজাট থানার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেন।

এ দিকে, রবিবার ফারুক পাইক, মফিজুল শেখ ও মইদুল শেখ নামে শাজাহান ঘনিষ্ঠ তিন জনকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সূত্রের দাবি, ইডি-র উপরে হামলায় যুক্ত থাকার পাশাপাশি শাজাহান ও আলমগীরের দু’টি গাড়ি নিজের গ্যারাজে লুকিয়ে রাখেন মফিজুল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement