—প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তানি ‘গুপ্তচর’দের সাহায্য করার অভিযোগে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হলেন সাত জন। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ধৃতেরা বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে বা সিমকার্ডের দোকানের মালিক। সম্প্রতি তদন্তে উঠে এসেছে, সিমকার্ড ব্যবহার না করেই ভারতীয় নম্বর দিয়ে ফোনে হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতেন পাক গুপ্তচরের। এই কাজে তাঁদের ‘ওটিপি’ (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) সরবরাহ করতেন ধৃতেরা।
এসটিএফ সূত্রে খবর, চলতি মাসে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের জালে কয়েক জন ধরা পড়েছেন। অভিযোগ, তাঁরা পাক গুপ্তচর। তাঁদের ফোন খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ভারতীয় নম্বর ব্যবহার করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তাঁরা। তদন্তে উঠে আসে, মুর্শিদাবাদ থেকে প্রচুর পরিমাণে ‘প্রি-এফেক্টিভ’ সিম কেনা হচ্ছে। যে সব দোকান থেকে ওই সিমগুলি ‘সক্রিয়’ করা হয়, সেগুলি চিহ্নিত করা হয়। সেই সব ডিলার ও দোকানমালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের একটি সূত্রে দাবি, ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছেন, পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় সমাজমাধ্যমে। মোটা টাকার লোভে তাঁরা ওই কাজ করতেন। কী ভাবে চলত এই কারবার? ধৃতেরাই জানিয়েছেন, দোকানে সিম কিনতে আসা গ্রাহকদের নথি ও বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে একাধিক সিম কার্ড সক্রিয় করা হত। বায়োমেট্রিক হাতাতে ব্যবহার করা হত বিশেষ ধরনের মেশিন। বিভিন্ন গ্রাহকদের নামে তোলা সিমের নম্বর দিয়ে হোয়াট্সঅ্যাপ খুলতেন পাক গুপ্তচরেরা। হোয়াট্সঅ্যাপ খোলার সময় ওই ফোন নম্বরে আসা ওটিপি দিয়ে গুপ্তচরেদের সাহায্য করতেন দোকান মালিকেরা। ওটিপি পিছু তাঁরা পেতেন সাত থেকে ন’হাজার টাকা।
এসটিএফ সূত্রেই জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি হুগলি থেকেও দু’জন এজেন্ট ও এক মধ্যস্থতাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদহের কয়েক জন এই কাজে যুক্ত রয়েছেন বলেও খবর পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অবিলম্বে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও খবর মিলেছে এসটিএফ সূত্রে।