পাঁচতলা নতুন কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পুজো করে অস্থায়ী অথচ নতুন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করে দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেই নতুন দলীয় কার্যালয়ে এসে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক আছে, নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পাশাপাশি দলের নেতাদের বেশকিছু দায়িত্বও দেবেন তিনি। সেই পর্যায়ে নতুন অফিসেরও দায়িত্ব বন্টন করতে পারেন মমতা। আপাতত নতুন এই কার্যালয়ে মাত্র তিন জনের জন্যই ঘর বরাদ্দ হয়েছে। তাঁদের একজন অবশ্যই মমতা স্বয়ং। অন্য দু’জন হলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের সাউথ ক্যানাল রোডের পাঁচতলা একটি অতিথিশালাকে নিজেদের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলার শাসকদল।
বাইপাসের অপর প্রান্তে মূল তৃণমূল ভবনটি ভেঙে নতুন করে গড়ার কাজ চলছে। সেটি তৈরি হতে এখনও সময় লাগবে। অথচ শাসকদলের একটি নিজস্ব দফতর না-হলেও চলে না। তা-ই বাইপাসের অন্যপ্রান্তে এই দফতর। অস্থায়ী অফিসের একতলায় প্রবেশের পথেই রয়েছে রিসেপশন। ভিতরে রাজ্য সভাপতির বসার ঘর। মমতার ঘরটি চার তলায়। চার তলায় মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সর্বময় নেত্রীর সঙ্গেই রয়েছে ডায়মন্ড হারবারের সংসদ সদস্য অভিষেকের বসার ঘর। চারতলায় এখনও পর্যন্ত আরও দু’টি ঘর খালি রয়েছে। তৃণমূলেরই একটি সূত্রের দাবি, ওই ঘর দু’টি দেওয়া হতে পারে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অপর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। বাড়িটি দোতলায় সাংবাদিক সম্মেলন কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে প্রয়োজনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হবেন দলীয় নেতারা।
নিজস্ব চিত্র।
তিনতলার চারটি ঘরের মধ্যে একটি বরাদ্দ হতে পারে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। আর একটি ঘর দেওয়া হতে পারে তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বাড়িটির পাঁচতলায় তৈরি করা হয়েছে একটি বড় আকারের সম্মেলন কক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকালে পাঁচতলার ওই সম্মেলন কক্ষেই বৈঠক করার কথা মমতার। শীর্ষ নেতৃত্বের বসার ঘরের বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি এই অস্থায়ী অফিসে তৃণমূলের শাখা সংগঠনগুলির জন্যও ঘর বরাদ্দ করা হতে পারে। সূত্রের দাবি, সে ক্ষেত্রে কয়েকটি ঘরকে বাছাই করে দিন অদলবদল করে বসতে বলা হবে শাখা সংগঠনের নেতানেত্রীদের। সূত্রের আরও দাবি, মহিলা তৃণমূল এবং বঙ্গজননী সংগঠনকে একটি ঘরে দিন অদল বদল করে বসতে বলা হতে পারে। শিক্ষক, অধ্যাপকদের সংগঠনের নেতাদেরও একই বার্তা দেওয়া হতে পারে। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং যুব তৃণমূলের সভাপতি ও সভানেত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হতে পারে। তৃণমূল নেত্রী মমতা এখনও নিজে নতুন অফিসটি দেখেননি। বৃহস্পতিবার বৈঠক করতে এসে প্রথম বার নতুন অফিস দেখবেন তিনি। তখনই তিনি নিজের ঘরটিও দেখবেন প্রথম। মমতা সরেজমিনে পুরো দফতরটি দেখার পরেই নেতাদের ঘরবন্টন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।