তেজস্বী প্রসাদ-প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র ।
প্রশান্ত কিশোরের সম্পর্কে কোনও খবর রাখেন না তিনি। পটনা থেকে প্রশান্ত কিশোর বা পিকে নিজের রাজনৈতিক দলের সূত্রপাত করতে পারেন, এমন জল্পনা শুরু হওয়ার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তথা লালু প্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব।
মঙ্গলবার ইদ উপলক্ষে জাতীয় লোক জনশক্তি পার্টির সাংসদ মেহবুব আলি কায়সারের সঙ্গে দেখা করতে যান তেজস্বী। সেখানেই তাঁকে প্রশান্তের রাজনীতিতে প্রবেশের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এর উত্তরে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা বলেন, ‘‘আমি ওঁর (প্রশান্ত কিশোর) কোনও খবর দেখি না বা শুনি না।’’ ভোটকুশলী পিকে নতুন দল তৈরি করে রাজনীতিতে প্রবেশের ইঙ্গিত দেওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে নিজস্ব মতামত পোষণ করেছে। প্রতিক্রিয়া এসেছে আরজেডি-র তরফ থেকেও। আরজেডি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পিকে নতুন দল গড়ে রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রবেশ করলে বা বিহার থেকে নতুন দলের সূত্রপাত করলেও সে রাজ্যে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। বিহারে শুধুমাত্র ‘তেজস্বী মডেল’ চলবে বলেও আরজেডি নেতাদের দাবি।
ঘটনাচক্রে, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদীও মন্তব্য করেছেন, পিকে বিহারের রাজনীতিতে এলেও বিহারে কেবল মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলিই গুরুত্ব পাবে। অর্থাৎ, পিকে ‘মূলধারার রাজনৈতিক দল’ গঠন করতে পারবেন না। বড় জোর তাঁর দল আঞ্চলিক দল হয়ে থাকবে। এর আগে রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত না থাকার কারণে প্রশান্তের পক্ষে বিহারের ১২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছনো ‘স্বপ্নাতীত’ বলে কটাক্ষ করেছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ক্ষমতাসীন জেডি (ইউ) দল।
প্রসঙ্গত, ২ মে, সোমবার টুইট করে বিহার থেকে রাজনৈতিক দলের সূচনা করার জল্পনা উস্কে দেন পিকে। তিনি লেখেন, ‘গণতন্ত্রের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠার পথে আমার যে অন্বেষণ, তা ১০ বছর ধরে চলল। তবে এ বার সরাসরি প্রকৃত ঈশ্বর অর্থাৎ জনতা জনার্দনের দরবারে যাওয়ার সময় এসেছে। গণতন্ত্রকে আরও কাছ থেকে বোঝার সময় এসেছে।’ টুইটে ‘জন সূরয’ নামের উল্লেখও করেন তিনি। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, তাঁর নতুন দলের নাম হিসেবে ‘জন সূরয’-ই বেছে নিয়েছেন পিকে। বাংলায় ‘জন সূরয’ কথার আক্ষরিক অর্থ ‘জনতার সূর্য’। টুইটের শেষে পিকে বার্তা দেন, তাঁ নিজের রাজ্য বিহার থেকেই সূচনা হতে পারে ‘জন সূরয’-এর।