গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
সাইবার সংক্রান্ত অপরাধের তদন্তে বিভিন্ন জেলা এবং পুলিশ কমিশনারেটে গঠন করা হয়েছে পৃথক সাইবার থানা। কিন্তু অভিযোগ, ওই থানা তৈরি হলেও তার পরিকাঠামোয় কিছু খামতি রয়েছে। এ বার সেই খামতি দূর করে দ্রুত সাইবার অপরাধের কিনারা করার জন্য রাজ্য পুলিশে পৃথক সাইবার শাখা তৈরি করা হয়েছে, যা মাস খানেক আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এখন থেকে রাজ্যের ৩৪টি সাইবার থানার কাজকর্ম দেখভাল করবে ওই সাইবার শাখা। সাইবার থানার বিভিন্ন তদন্ত দেখভাল করা ছাড়া নতুন গঠিত ওই শাখা সিআইডির অধীনে থাকা সাইবার ফরেন্সিক ল্যাব, সাইবার সিকিয়োরিটি, সাইবার ডেটা সেলের মতো বিভাগের কাজকর্মেরও তত্ত্বাবধান করবে। উল্লেখ্য, সিআইডি-সাইবার অপরাধ থানা ওই শাখার অধীনে থাকছে না।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, এডিজি পদমর্যাদার এক জন অফিসারের নেতৃত্বে ওই শাখা রাজ্য জুড়ে সাইবার অপরাধের তদন্ত এবং কিনারা করার কাজ শুরু করেছে। ওই শাখায় রয়েছেন এক জন ডিআইজি, তিন জন এসপি, আট জন ডিএসপি, ২১ জন ইনস্পেক্টর। পুলিশ ছাড়া রয়েছেন ১১ জন ডেটা এন্ট্রি অফিসারও।
কেন ওই পৃথক শাখা গঠন করা হয়েছে? গত কয়েক বছরে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার অপরাধ। যার তদন্ত করার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো বিভিন্ন জেলায় নেই। এ ছাড়া ওই সাইবার অপরাধের জাল গোটা দেশ জুড়ে ছড়ানো। তাই কোনও জেলার পক্ষে একা তদন্ত করা বেশ সময়সাপেক্ষ। তার সঙ্গেই দ্রুত ওই মামলার কিনারা না করলে ইলেক্ট্রনিক নথি বা তথ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা হাতানোর মামলায় সব জেলার সাইবার থানাকে সাহায্য করেছেন রাজ্য সাইবার শাখার তদন্তকারীরা। পুলিশকর্তাদের দাবি, সাইবার শাখা গঠিত হওয়ার ফলে বিভিন্ন জেলায় সাইবার অপরাধের মামলা যেমন জমে থাকবে না, তেমনই অপরাধের দ্রুত কিনারা হবে। কারণ সাইবার অপরাধ থানাগুলিতে যে মামলাই নথিভুক্ত হোক না কেন, তার সবটাই জানতে পারবেন সাইবার শাখার আধিকারিকেরা।