জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে অনশনের সিদ্ধান্ত সিনিয়র ডাক্তারদের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
সিনিয়র ডাক্তারেরাও এ বার অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’। তবে কবে থেকে এবং কোথায় তাঁরা অনশনে বসবেন, তা রবিবার সন্ধ্যায় স্থির হবে। তার পরই ঘোষণা।
১০ দফা দাবি পূরণের জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু সেই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সরকারের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। তাই শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় জুনিয়র ডাক্তারেরা ‘আমরণ অনশনে’র ঘোষণা করেন। ঘোষণার পর রাত থেকেই ধর্মতলায় অনশনে বসেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের সমর্থনে এ বার এগিয়ে এলেন সিনিয়র ডাক্তারেরা।
‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’-এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আমাদের জুনিয়রেরা কর্মবিরতি তুলে নিয়ে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের সমর্থনে সিনিয়র ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী এবং নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনে আমরা সামিল হচ্ছি। আমরা একসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজগুলির নিরাপত্তা এবং আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আওয়াজ তুলব।’’ অনশনে ‘ভলান্টিয়ার’ চেয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেন সিনিয়র ডাক্তারেরা।
শুক্রবারই ‘আমরণ অনশনে’র হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে এসে অবস্থানে বসেন তাঁরা। ঘোষণা করেন, কর্মবিরতি তুলে নিলেও যত দিন পর্যন্ত না তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে, তত দিন অবস্থান চালিয়ে যাবেন। একই সঙ্গে এ-ও জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার দাবি না মানলে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করবেন। সেই মতো শনিবার রাত থেকে ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন শুরু করেছেন। অনশনে বসেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পিডিটি অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা এবং ক্যানসার বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট স্নিগ্ধা হাজরা। এ ছাড়াও, এসএসকেএমের পিডিটি অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্য এবং কেপিসি হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা অনশনে বসেছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে রবিবার সকাল থেকেই ধর্মতলার অনশনমঞ্চে এসে উপস্থিত হন সিনিয়র ডাক্তারেরা। দুপুরের মধ্যে তাঁরা অনশনে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। তবে ধর্মতলাতেই অনশনে বসবেন, না কি বেছে নেওয়া হবে অন্য কোনও জায়গা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার মধ্যেই সব কিছু স্থির হয়ে যাবে।