—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নবান্ন অভিযান ঠেকাতে নিরাপত্তা বলয় ঢেলে সাজছে রাজ্য প্রশাসন। আর জি কর-কাণ্ডকে সামনে রেখে আগামী মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’ বলে একটি সংগঠন। প্রশাসনের খবর, সেই অভিযানের দিন রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরের সুরক্ষায় বিপুল সংখ্যায় পুলিশ আসছে রাজ্যের প্রায় সব জেলা থেকে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শনিবার থেকেই নবান্ন সংলগ্ন সব এলাকা এমনকি, মূল প্রশাসনিক ভবনের ভিতরেও গোয়েন্দা নজরদারি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কী করতে হবে সে ব্যাপারে আগামিকাল, সোমবার হাওড়ারশরৎ সদনে বিশেষ প্রশিক্ষণ হবে পুলিশ কর্মীদের। প্রসঙ্গত, অতীতের নবান্ন অভিযানগুলি ছিল রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি। এ বার কোনও রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আর জি কর হাসপাতালের ওই ঘটনার পরে নাগরিক সমাজও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। তাই এ বার অভিযান ঠেকানো পুলিশের কাছে আরও কঠিন বলেই মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।
নবান্নের নির্দেশ, পুলিশ সুপার, ডিসিপি বা কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ১৩ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এডিসিপি পদের ১৫ জন, ডেপুটি পুলিশ সুপার বা এসিপি পদের ২২ এবং ২৬ জন ইনস্পেক্টর নবান্ন অভিযান ঠেকাতে মোতায়েন থাকবেন। তাঁরা শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, সুন্দরবন এলাকা থেকে আসছেন। তার পাশাপাশি র্যাফ, ইএফআর, স্ট্রাকো বাহিনীর জওয়ান-সহ প্রায় ২১০০ পুলিশকর্মী নিযুক্ত থাকবেন। তার মধ্যে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশকর্মী মোতায়েনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সে দিন দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের বয়স কম, তৎপর, বুদ্ধিমান এবং শারীরিক ভাবে সক্ষমও হতে হবে।