টাইগার হিল যাওয়ার পথে বরফ। — নিজস্ব চিত্র।
সান্দাকফুতে তুষারপাতের পর প্রহর গুনছিল দার্জিলিং। শনিবার সেই স্বাদও মিটল পর্যটকদের। এ নিয়ে পর পর দু’বছর দার্জিলিঙে বরফ পড়ল।
১০ বছর পর গতবার ডিসেম্বরের শেষে তুষারপাত হয়েছিল। এ বার জানুয়ারির শুরুতে দার্জিলিঙের টাইগার হিলের রাস্তায় ইতি উতি বরফ পড়ে থাকতে দেখা গেল। হাতের নাগালে বরফ পেয়ে বেজায় খুশি পর্যটকেরা। গাড়ি থামিয়ে বরফ নিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই।
শনিবার সকালে অবশ্য দার্জিলিং থেকেই স্পষ্ট দেখা গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। বাতাসিয়ালুপ এবং ম্যালের আশপাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ভিড় করেছিলেন পর্যটকেরা। সান্দাকফু এবং টাইগার হিলের পাশাপাশি এ দিনও লাচেন-সহ সিকিমের বিভিন্ন জায়গাতেও বরফ পড়ছে। সেই সঙ্গে চলছে বৃষ্টিপাতও।
আরও পড়ুন: স্বভাব যায় না...ইমরানের ভুয়ো ভিডিয়ো নিয়ে কটাক্ষ ভারতের
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, যে ঘূর্ণাবর্তটির অবস্থান ছিল এ রাজ্য লাগোয়া এলাকায়। তা এখন বাংলদেশের দিকে চলে গিয়েছে। ফলে বৃষ্টির পরিমাণ আর বাড়বে না। আজ, শনিবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং বীরভূমে হালকা বৃষ্টি হলেও, রবিবার আর বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। সোমবার থেকে তাপমাত্রা অনেকটাই নিম্নমুখী হবে। কলকাতার তাপমাত্রা নেমে ১২-১৩ ডিগ্রির ঘরে চলে যেতে পারে।
এ দিন দার্জিলিঙের তাপমাত্রা ছিল ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টাইগার হিলে বরফ পড়লেও, ম্যাল এবং ঘুম স্টেশনের আশপাশে বরফ দেখা যায়নি। তবে পাহাড়ে কনকনে ঠান্ডায় শীতের আমেজ নিচ্ছেন পর্যটকেরা। এ দিন কলকাতার সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছে। ফলে সারা দিনই ঠান্ডা মালুম হয়েছে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি কম (১৮.০ ডিগ্রি) এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.১ ডিগ্রি। যা আবার স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। রবিবার তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।