গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়া খুন ও ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ঘনিষ্ঠ এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং টালা থানার দুই পুলিশ কর্মীর সাক্ষ্য গ্রহণ করল শিয়ালদহ অতিরিক্ত দায়রা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। মঙ্গলবার ওই তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ সঞ্জয়কে কালো কাচে ঢাকা জাল ঘেরা জানলার ছোট গাড়িতে আদালতে নিয়ে আসা হয়। পিছনে প্রিজ়ন ভ্যান ছিল। আদালতে যাতায়াতের পথে সঞ্জয়ের কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি।
সিবিআই সূত্রে দাবি, ৮ অগস্ট সন্ধ্যার পর সঞ্জয়, তার ঘনিষ্ঠ সিভিক ভলান্টিয়ারের এক আত্মীয়ের চিকিৎসার জন্য আর জি করে এসেছিল। এর পরে তার ঘনিষ্ঠ সিভিক ভলান্টিয়ারের আত্মীয়-সহ আরও দু’জনের চিকিৎসা সংক্রান্ত তদারকি করেছিল সঞ্জয়। এবং পরে রাতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারও হাসপাতালে আসেন। পরে ফিরেও যান। সঞ্জয় হাসপাতালে থেকে গিয়েছিল। রাতে এক বার হাসপাতাল থেকে বাইরে গিয়েছিল সঞ্জয়। এর পরে ফের সে হাসপাতালে ফিরে আসে বলে কলকাতা পুলিশের তদন্তে তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সেই জন্যই সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিস্তারিত সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বলে দাবি করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
এ ছাড়া টালা থানার দুই পুলিশ কর্মীরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ৯ অগস্ট চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পরে রাতে সঞ্জয়কে টালা থানার তরফে ডাকা হয় বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে টালা থানার দুই পুলিশ কর্মীই সঞ্জয়কে নিয়ে এসেছিলেন।