স্ক্রুটিনি-পর্বের আগে আলোচনায় জোট প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য ও বিরোধী নেতারা
বাংলা থেকে রাজ্যসভায় এ বার শূন্য হয়েছে পাঁচটি আসন। ওই পাঁচ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছে ৬ জনের। তার মধ্যে দীনেশ ত্রিবেদী, সুব্রত বক্সী, মৌসম বেনজির নূর ও অর্পিতা ঘোষ প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের। কংগ্রেসের সমর্থনে সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিরোধী জোটের প্রার্থী। আর ‘নির্দল’ প্রার্থী দীনেশ বজাজকে সমর্থন করছে শাসক দল তৃণমূল। বিধানসভার সচিবের দফতরে নির্বাচনী কার্যালয়ে আজ, সোমবার হবে ওই প্রার্থীদের মনোনয়নের স্ক্রুটিনি। শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভায় ভোট হবে কি না, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাবে আজই। কারণ, এর পরে শুধু বাকি থাকবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য দু’দিন।
প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়ন ও হলফনামা নিয়ম মেনে ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, দু’জন প্রার্থীর কাগজপত্রে অসম্পূর্ণতাজনিত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার অবকাশ আছে। স্ক্রুটিনির সময়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই। মোট ৬ প্রার্থীর মধ্যে কারও মনোনয়ন বাতিল হলে রাজ্যসভার জন্য এ বার আর ভোট করার প্রয়োজন পড়বে না। আর সকলের মনোনয়ন যদি গ্রাহ্য হয়, তা হলে ভোটগ্রহণের দিন ২৬ মার্চ।
ভোট হলে তার জন্য নানা অঙ্ক কষা চলছে শাসক ও বিরোধী শিবিরে। বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বিকাশবাবুর পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই ‘নির্দল’ প্রার্থী হয়ে আসরে নেমেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বজাজ। কিন্তু শুধু তৃণমূলের অতিরিক্ত ভোটে তাঁর রাজ্যসভায় যাওয়া সম্ভব নয়। বাম ও কংগ্রেসের ভোট ভাঙিয়ে ‘নির্দল’ দীনেশ যাতে জিততে না পারেন, তার জন্য সতর্কতা নিচ্ছে বিরোধী শিবির। তবে তারও আগে সব পক্ষের নজর স্ক্রুটিনি-পর্বের দিকে। শেষ পর্যন্ত ভোট না হলে অবশ্য ‘স্বস্তি’ পাবেন তৃণমূলে যাওয়া ১৭ এবং বিজেপিতে নাম লেখানো ১০ জন ‘দলত্যাগী’ বিধায়কও!