Education Scam

দুর্নীতির মাধ্যমে স্কুলে চাকরি পাওয়া গ্রুপ ডি কর্মীদের তথ্য জানাতে স্কুলগুলিকে নির্দেশ

বেআইনি ভাবে গ্রুপ ডি-তে নিয়োগ হওয়া স্কুলগুলিতে চিঠি পাঠাল জেলা স্কুল ইন্সপেক্টররা। চিঠি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের। সেই চিঠিতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা গ্রুপ ডি-র কর্মীদের অবস্থান জানতে বলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৯
Share:

নির্দেশ পেয়ে ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডি-র কর্মীর তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা দফতর। ছবি: সংগৃহীত।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের করা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ১৬৯৮ জনকে আগেই নোটিস ধরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল শিক্ষা দফতর। এ বার সেই পর্বে বেআইনি ভাবে নিয়োগ হওয়া স্কুলগুলিতে চিঠি পাঠালেন জেলা স্কুল ইন্সপেক্টররা। চিঠি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের। সেই চিঠিতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা গ্রুপ ডি-র কর্মীদের অবস্থান জানতে বলা হয়েছে। তাঁরা আদৌ কাজে যোগ দিয়েছিলেন কি না? বা যদি তাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়ে থাকেন, তা হলে বর্তমানে তাঁরা কোন পদে কত দিন ধরে চাকরি করছেন? এমন সব তথ্য স্পষ্ট করে জানাতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে স্কুল নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সেই তদন্তে সিবিআই আদালতে জানায় স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তের পর বেআইনি ভাবে গ্রুপ ডি-র পদে নিয়োগ হওয়াদের নামের তালিকা আদালতে জমা দেয়। সেই তালিকার ভিত্তিতে হাইকোর্ট শিক্ষা দফতরকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ পেয়ে ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডি-র কর্মীর তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা দফতর। যাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়।

Advertisement

এ বার সেই গ্রুপ ডি-র কর্মীদের স্কুলে চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের বর্তমান অবস্থান জানতে বললেন জেলার স্কুল ইন্সপেক্টররা। তবে গ্রুপ ডি-র কর্মীদের এভাবে চাকরি যাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল। তিনি বলেন, “এ ভাবে চাকরি যাওয়ার পিছনে আসলে দায়ী কারা তা সবাই জানে। তাঁদের শাস্তি কবে হবে? আসল দুর্নীতি তো তাঁরা করেছেন। কারণ তাঁরাই তো টাকা নিয়ে চাকরি দিয়ে সমাজের কাছে সবচেয়ে বড় অপরাধী বলে প্রতিপন্ন হয়েছেন। যাদের চাকরি চলে যাচ্ছে, তাঁদের ভবিষ্যতের দায়ও তাঁদের।” শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ মেনেই যাবতীয় কাজ করছে শিক্ষা দফতর। তাই এ বিষয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য না করে আদালতের নির্দেশকেই কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement