ইতিহাস বইয়ে ভুল শোধরাতে কমিটি

সরকারি ইতিহাস বই পড়ানো হয় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

অনেক আগেই ভুল ধরা পড়েছিল। কিন্তু সংশোধন হয়নি। সরকারি পাঠ্যবইয়ের সেই ভুল তথ্য নিয়ে ফের সরব হলেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার বিধানসভায় সিপিএম বিধায়ক প্রদীপ সাহা প্রশ্ন তোলেন, সরকারি ইতিহাস বইয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া হল কেন? পরে ভুল স্বীকার করে তা সংশোধনের জন্য একটি কমিটি গড়ার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ বার থেকে অধ্যাপক-বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি সরকারি পাঠ্যবইগুলি খতিয়ে দেখবে।

Advertisement

সরকারি ইতিহাস বই পড়ানো হয় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বইয়ে ‘বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন’ নামে একটি অধ্যায়ে ক্ষুদিরাম বসু, বাঘা যতীন, ভগৎ সিংহ, বিনয়-বাদল-দীনেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বর্ণনা আছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া হবে কেন? কেনই বা এই ‘ভুল’ সরকারি পাঠ্যক্রমে রাখা হবে?

পরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত এই ভুল থেকে যাওয়াটা দুঃখজনক। অনেক আগে যে-ভুল ধরা পড়েছিল, তা এখনও কেন সংশোধন করা হয়নি, প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রীই। তিনি জানান, নতুন কমিটিতে শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বও থাকবে। বইগুলি গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবে কমিটি। তিন মাসে সার্বিক রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করবে সরকার।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, অনেক আগেই ভুল চিহ্নিত করে সরকারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সরকার তা না-মানায় এ দিন বইটি বিধানসভায় আনা হয়। পরে জীবনবাবু জানান, সরকারি নির্দেশিকা পেলে কমিটির কাজকর্মের খুঁটিনাটি স্পষ্ট হবে। ইতিহাস ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের বই কারা খতিয়ে দেখবেন, তখনই তা বোঝা যাবে। বই ও পাঠ্যক্রম নিয়ে অন্যান্য সরকারি কমিটির সঙ্গে নতুন কমিটির সমন্বয়ের পদ্ধতি স্থির হবে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী।

পার্থবাবু জানান, জীবনবাবুর কমিটিতে ১০-১২ জন শিক্ষাবিদ রাখা হচ্ছে। ‘‘আমি পবিত্র সরকারকে কমিটিতে রাখতে চাই। যাদবপুর বিদ্যাপীঠ, হিন্দু, হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক, বিধায়ক-শিক্ষক ব্রজ মজুমদার, কালীপদ মণ্ডলের পাশাপাশি শিক্ষক সংগঠন, অভিভাবকদের প্রতিনিধিও রাখতে বলেছি। যে-সব বই পরিবর্তন করা হয়েছে, সেগুলির পরিমার্জন প্রয়োজন কি না, কমিটিই তা দেখবে। বইগুলির ভাষা, বিশেষত ইংরেজি সহজবোধ্য করা যায় কি না, শিক্ষাবিদেরা তা-ও দেখবেন,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement