প্রতীকী ছবি।
তফসিলি পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ মোদী সরকারের আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে জেলায় জেলায় প্রচার করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। তফসিলিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বরাদ্দ কী ভাবে অন্য খাতে খরচ করছে রাজ্য সরকার ,এই অভিযোগ তুলেও সরব হবে তারা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তফসিলি ও আদিবাসী ভোট মজবুত করতে বিজেপি-র এই কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার রাজ্য বিজেপি-র তফসিলি মোর্চার সভাপতি দুলাল বর দাবি করেন, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া তফসিলি সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের বৃত্তির (স্কলারশিপ) জন্য আগামী পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ৮২৫.৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বিগত পাঁচ বছরে যা ছিল ৪২.৫ কোটি টাকা। শিক্ষায় যে হেতু কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই যৌথ ভাবে অংশগ্রহণ করে। তাই বৃত্তির টাকাও দু’তরফে দেওয়া হয়। কেন্দ্র দেয় মোট বরাদ্দের ৬০ শতাংশ আর ৪০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য। তবে উল্লিখিত টাকায় শুধুমাত্র কেন্দ্রের ভাগ রয়েছে বলে জানান দুলাল। অর্থাৎ এই বৃত্তিতে রাজ্যের প্রদত্ত আর্থিক পরিমাণের টাকা থাকছে না। রাজ্যকে বৃত্তি হিসেবে ৪০ শতাংশ টাকা দিতে হবে।
বিজেপি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতের মোট ৪ কোটি তফসিলি পড়ুয়ার জন্য বৃত্তি হিসেবে ৫৯ হাজার ৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার। এর মধ্যে কেন্দ্রের ভাগ থাকবে ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৫ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া তফসিলি সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য অনলাইনে ওই বৃত্তির আবেদন করতে পারেন। বৃত্তির টাকা সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকারকে সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে দুলাল বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারের কাছে বাকি অর্থ সরাসরি পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। আমরা চাই তাতে কোনও কাটমানি থাকবে না।’’
আরও পড়ুন: ‘ভাইপো মানে অভিষেক’, এ বার নাম করেই আক্রমণ লকেটের
হিসাব বলছে, গত লোকসভা নির্বাচনে তফসিলি ও আদিবাসী ভোটের বেশির ভাগটাই পেয়েছিল বিজেপি। সেই ভোট সামনের বিধানসভা নির্বাচনেও ধরে রাখতে চাইছে তারা। তাই তফসিলিদের মন জয় করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামছে বিজেপি। এমনকি বৃত্তির টাকার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য মোদী সরকারের কাছে তফসিলিদের ধন্যবাদ চিঠিও পাঠানোর আর্জি জানাবেন বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘জেলায় জেলায় তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে চিঠি দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হবে। তফসিলি মোর্চার কর্মীরা জেলা ও মন্ডলে এই কর্মসূচি পালনের দায়িত্বে থাকবেন। মানুষকে বোঝানোর জন্য করা হবে একাধিক পথসভা।’’
আরও পড়ুন: কমছে সংক্রমণ, রাজ্যে এক হাজারের নীচে নেমে এল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা