প্রতীকী চিত্র
প্রথম ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ঘিরে উপভোক্তাদের আগ্রহ ছিল সব চেয়ে বেশি। বেশির ভাগ মানুষই সেই সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে কিন্তু আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। তবে এ বারেও চাহিদার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পই।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর ভান্ডারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগ্রহ দেখিয়েছেন অন্তত ৯৪.৩০ লক্ষ মানুষ। আর স্বাস্থ্যসাথীতে এই সংখ্যা অন্তত ২৬.১৬ লক্ষ। প্রথম দুয়ারে সরকার কর্মসূচির পরে প্রশাসন জানিয়েছিল, আবেদনকারীদের মধ্যে অন্তত ৮৫.১৩ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। জেলা প্রশাসনগুলি জানাচ্ছে, গত বার আবেদন করেও যে-সব উপভোক্তা কার্ড পাননি অথবা যাঁদের কার্ডে সংশোধন প্রয়োজন, তাঁরা এ বার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য বিভিন্ন শিবিরে যোগাযোগ করছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের কর্তাদের বক্তব্য, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নথিভুক্ত হওয়ার অন্যতম মাধ্যম স্বাস্থ্যসাথী। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্যও এ বার আগ্রহ ব্যাপক।
শিবিরগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ক্ষেত্রে উপভোক্তা-সংখ্যার নিরিখে প্রথম পাঁচে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩.১১ লক্ষ), মুর্শিদাবাদ (২.২৩ লক্ষ), উত্তর ২৪ পরগনা (২.০৪ লক্ষ), পূর্ব মেদিনীপুর (১.৭১ লক্ষ) এবং নদিয়া (১.৫৫ লক্ষ)। তবে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পরিষেবা প্রদানের দিক থেকে এগিয়ে আছে পূর্ব মেদিনীপুর। ১৬ অগস্ট থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই জেলায় ৫৩ হাজারের কিছু বেশি উপভোক্তাকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। তার পরেই আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৪৪ হাজার), উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, (৩৭ হাজার), হাওড়া (৩০ হাজার)।
কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখে রাজ্য জুড়ে দ্বিতীয় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির শিবির বিন্যাসে প্রায় নিয়মিতই পরিমার্জনের কাজ চলছে। বাড়ানো হচ্ছে শিবিরের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কোভিড বিধি মানার ব্যাপারে প্রায় নিয়মিতই জেলাগুলিকে নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসনের শীর্ষ মহল। সেই কাজ সব জেলা নিজের মতো শুরু করে দিলেও গর্ভবতী মহিলা এবং নবজাতকদের মায়েদের আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য ভ্রাম্যমাণ শিবিরের ব্যবস্থা করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেই সব শিবিরের গাড়িগুলি উপভোক্তাদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে আবেদনপত্র দেওয়া এবং আবার তা জমা নেওয়ার কাজ করছে।