Shantanu Thakur

এনআরসিতে তৃণমূলকে তাড়ানোর হুমকি শান্তনুর

বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য, “তৃণমূলের লোকজনকে এনআরসি-র সময় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:২৬
Share:

শান্তনু ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।

সিএএ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত তোপ দাগছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এরই মধ্যে বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য, “তৃণমূলের লোকজনকে এনআরসি-র সময় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হবে।” এর আগে তৃণমূলের কাউকে নাগরিকত্ব নিতে দেবেন না বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন শান্তনু। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হেলেঞ্চায় নির্বাচনী প্রচারের মাঝে এল তাঁর এই এনআরসি-মন্তব্য।

Advertisement

শান্তনু এ বারে বলেছেন, “বলেছি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব। তৃণমূলের মা যিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), তিনি বলেন ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড থাকলে নাগরিকত্ব পাবেন। এনআরসি-র সময় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হবে। তখন তাঁরা (তৃণমূলের লোকজন) তাঁদের মায়ের কাছ থেকে নাগরিকত্ব নেবেন। সিএএ দেশের নাগরিকত্ব দেবে। পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকত্ব হয় না।”

শুক্রবার অবশ্য নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন শান্তনু। বলেছেন, “আমি বলতে চেয়েছি, ১০০ বছর পরে হয়তো কেন্দ্রে বাংলা-বিরোধী কোনও সরকার এল। তারা এনআরসি চালু করতে পারে। ১৯৭১ সালের পরে যে সব উদ্বাস্তু ধর্মীয় ভাবে নিপীড়িত হয়ে বাংলায় এসেছেন, তাঁরা যদি এখন সিএএ-তে আবেদন করে নাগরিকত্ব না নেন, তা হলে তখন তো তাঁদের ঘাড় ধাক্কা খেতে হবে। কারণ, ইন্দিরা গান্ধী এবং শেখ মুজিবর রহমানের চুক্তি অনুযায়ী ১৯৭১ সালের পরে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা নাগরিক নন।”

Advertisement

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ল। আমরা বলেছিলাম সিএএ-র মাধ্যমে বিজেপি এনআরসি করবে। শান্তনুর কথায় তা বেরিয়ে এল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না।”

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর বলেন, “সিএএ-তে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা নেই। মতুয়ারা তা বুঝতে পেরে শান্তনু ঠাকুরদের পাশ থেকে সরে গিয়েছেন। এখন এ সব বলে শান্তনু নিজেই নিজের কবর খুঁড়ছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement