কোর্ট লকআপ থেকে এজলাসের পথে শাহজাহান। — নিজস্ব চিত্র।
১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকবেন শাহজাহান। বসিরহাট মহকুমা আদালতে শাহজাহানকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। আদালত তাঁকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ধবধবে সাদা পোশাক, পায়ে স্নিকার্স পরিহিত শাহজাহান অবশ্য সাংবাদিকদের সামনে একটি কথাও বলেননি।
৫৬ দিনের মাথায় আবার প্রকাশ্যে শাহজাহান শেখ। গ্রেফতারির পর তাঁকে সোজা আনা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতের গারদে (কোর্ট লকআপ)। বৃহস্পতিবার সকালে বসিরহাট মহকুমা আদালতের কোর্ট লকআপ থেকে বার করে কিছু ক্ষণের জন্য শাহজাহানকে আনা হয় এজলাসে। লকআপ থেকে এজলাসে আনার পথে সাদা কুর্তা, পাজামা পরিহিত শাহজাহান যদিও কোনও কথা বলেননি। আদালত তাঁকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে গত রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহানকে। তার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে সোজা নিয়ে আসা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতের লকআপে। সেখানেই কিছু ক্ষণ রাখা হয়েছিল শাহজাহানকে। তার পর সামান্য সময়ের জন্য তাঁকে লকআপ থেকে এজলাসে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় ৫৫ দিন পর প্রথম বার প্রকাশ্যে দেখা যায় সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শাহজাহানকে। সেই সময় আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করেন শাহজাহানকে। কিন্তু সাদা কুর্তা, পাজামা, জওহর কোট, পায়ে সাদা স্নিকার্স পরিহিত শাহজাহান একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। শুধু আঙুল নাড়িয়ে তাঁকে কিছু ইঙ্গিত করতে দেখা যায়।
শুনানি শেষে শাহজাহানকে নিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে যায় পুলিশ। বিশাল কনভয় কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কারণ, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ চূড়ান্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করছে। স্বভাবতই, তাঁকে কোথায় রাখা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।