100 days

100 days work: কেন এক বার সই, এক বার টিপছাপ

মালদহ, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে একাধিক পঞ্চায়েতে দিনভর ঘোরেন পর্যবেক্ষকেরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

একই উপভোক্তা ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে এক বার টাকা তুলেছেন স্বাক্ষর করে, আর এক বার টিপছাপ দিয়ে। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বিলকুমারী পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে মঙ্গলবার তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের দুই সদস্য। উপভোক্তার দাবি, সই করতে জানলেও, তাড়াহুড়োয় এক বার টিপসই দিয়ে টাকা তুলেছেন।

Advertisement

১০০ দিন কাজের প্রকল্প আর আবাস যোজনা— দুই প্রকল্পের খুঁটিনাটি রাজ্যের অন্যত্রও খুঁটিয়ে দেখেছেন ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং’ (এনএলএম) দলের সদস্যেরা। বীরভূমের মুরারই ২ ব্লকের রুদ্রনগর পঞ্চায়েতে গিয়ে নটি অর্থবর্ষের ২৭৭টি কাজের মধ্যে পাঁচটিকে চিহ্নিত করে, পরিদর্শনে বেরোন তাঁরা। কাজগুলি ঘুরে দেখার মধ্যেই আন্দিপুর ও রুদ্রনগর পূর্ব ভূঁইমালি পাড়ায় নেমে কোন উপভোক্তা আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন খোঁজ নেন। ঘর করতে কাউকে টাকা দিতে হয়েছে কি না তা-ও জানতে চান। নিজেরাই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ঘর করেছেন বলে উপভোক্তারা তাঁদের জানান। হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকের ইটাচুনা-খন্যান পঞ্চায়েত ভবনে ঢোকার আগে, সে জেলায় যাওয়া পর্যবেক্ষকেরা দু’জায়গায় বাংলা আবাস যোজনার ঘর এবং রাস্তা পরিদর্শন করেন। ওই সময় তাঁরা কাউকে সঙ্গে নেননি।

মালদহ, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে একাধিক পঞ্চায়েতে দিনভর ঘোরেন পর্যবেক্ষকেরা। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর, পাতাকাটা পঞ্চায়েতে যান কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য। বন্ধ রায়পুর চা বাগান পরিদর্শন ও বাগানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদের ডোমকল মহকুমা, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-২ ব্লক, বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ও পুরুলিয়ার পুঞ্চাতেও যান তাঁরা।

Advertisement

কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা এ দিন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের দেবশালা ও অমরপুর পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পে কুড়ি জন জব-কার্ডধারীর কাছে জানতে চান, টাকা ঠিকমতো মিলছে কি না, অ্যাকাউন্ট রয়েছে কি না, কাজে অসুবিধা হচ্ছে কি না ইত্যাদি। আবাস যোজনার পাঁচটি বাড়িও দেখেন। বাড়ির মালিকদের টাকা পেতে অসুবিধা হয়েছে কি না, বাড়িতে শৌচাগার, ‘উজ্জ্বলা’ প্রকল্পে গ্যাস রয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়। ওই দলের সদস্য শৌভিক বর্মা দাবি করেন, ‘‘কেন্দ্র সরকার যে সুবিধা দেয়, তা উপভোক্তাদের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছেছে কি না, জানতে এসেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement