সাকেতের গ্রেফতারি নিয়ে সরব তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ফাইল চিত্র।
সাকেত গোখলের গ্রেফতারি নিয়ে এ বার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল দিল্লিতে কমিশনের দফতরে যাবে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কমিশনে যাওয়ার কথা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের।
গুজরাতের মোরবীতে সেতু বিপর্যয় নিয়ে টুইট করার অভিযোগে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেতকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজনীতিতে। গুজরাত পুলিশের হাতে সাকেতের গ্রেফতারি নিয়ে সুর চড়ান তৃণমূল নেতৃত্ব। ধিক্কার জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাকেতের গ্রেফতারিতে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘিত হয়েছে বলে সরব হয়েছে তৃণমূল। এ নিয়েই সোমবার কমিশনের দ্বারস্থ হবে বাংলার শাসকদল। পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে থাকছেন লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, মৌসুম নুর ও রাজ্যসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ রাজস্থানের বিমানবন্দরে প্রথম গ্রেফতার করা হয় সাকেতকে। গত বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্ত হন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র। কিন্তু জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার সাকেতকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করে তৃণমূল। শুক্রবার আবার জামিন পান সাকেত।
নিজের গ্রেফতারিরকে ‘বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলে বর্ণনা করেছেন সাকেত। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর টুইটারে বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল নেতা লিখেছিলেন, ‘‘বিজেপির উদ্দেশ্য ছিল আমাকে টার্গেট করা, আমাকে জেলে ভরা এবং আমাকে সেখানে রাখা। উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতে এটিই মোদী ও শাহের পাঠ্যপুস্তক।’’