বৈঠকে গ্রামীণ উন্নয়নের যাবতীয় প্রকল্প বা কর্মসূচির পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
কবে হবে পঞ্চায়েত ভোট, এখনও কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। কিন্তু এই ভোটকে মাথায় রেখে গ্রামীণ উন্নয়নের যাবতীয় পড়ে থাকা কাজ শেষ করার নির্দেশ দিল নবান্ন। শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের প্রায় সব উচ্চপদস্থ আধিকারিক। বৈঠকে গ্রামীণ উন্নয়নের যাবতীয় প্রকল্প বা কর্মসূচির পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়। বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
আগামী অগস্ট মাসের ১৩ তারিখে রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এটি মাথায় রেখেই, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই সূত্রের খবর। রাজ্য সরকারের এক আধিকারিকের কথায়, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। রাজ্য প্রশাসনের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনার প্রশ্ন নেই। তবে বর্তমান পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনটিকেই আপাতত কাজ শেষ করার দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, আধিকারিকদের কাছ থেকে ‘পথশ্রী’ ও ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যসচিব। গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে লক্ষ্যমাত্রার কতটা পৌঁছানো গিয়েছে, বা আগামী মাস তিনেকে কতটা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে, তা নিয়েও বিস্তারিত জেনেছেন তিনি। পঞ্চায়েতের আবাস নির্মাণ, শৌচালয় নির্মাণ ও পানীয় জলের সরবরাহ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তারও রিপোর্ট নিয়েছেন মুখ্যসচিব। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা কোথায় কী ভাবে খরচ হয়েছে তারও বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ১০০ দিনের জব কার্ড পাওয়া শ্রমিকদের বিকল্প পদ্ধতিতে কতটা কাজ দিতে পেরেছে গ্রামীণ প্রশাসন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, কাজের অগ্রগতি কেমন হচ্ছে, তা বুঝে নিতে আবারও শীর্ষ অধিকারীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন মুখ্যসচিব।