রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে।
এত দিন যা বাধ্যতামূলক ছিল বিমানযাত্রীদের জন্য, এ বার তা আবশ্যিক করা হল ট্রেনযাত্রীদের ক্ষেত্রেও। ভিন্ রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ট্রেনে বাংলায় এলে সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। এবং ট্রেনে ওঠার জন্য সেই রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া আবশ্যিক। পজিটিভ হলে কোনও অবস্থাতেই ট্রেনে ওঠা যাবে না।
বুধবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপত নেওয়ার পর তিনি প্রথম যে সাংবাদিক বৈঠক করেন, সেখানেই জানিয়ে দেন কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করবে। মুখ্যমন্ত্রী বুধবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ রাজ্যে ট্রেনে করে এলেও এ বার থেকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (এসওপি) জারি করেছে রাজ্য। সেই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, কোভিড সংক্রমণ বাড়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশিকা প্রকাশের পর রেল এক বিবৃতি জারি করে। সেখানে বলা হয়, যে সমস্ত যাত্রী ট্রেনে চড়ার ৭২ ঘণ্টা আগে করা আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যে আসবেন তাঁদের স্টেশন ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে পরের সাত দিন তাঁদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যদি জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট হয় তবে তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে যেতে হবে বা সরকারি কোভিড হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় উপসর্গ থাকা যাত্রীদের টেস্ট করার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। রিপোর্ট পজিটিভ আসলে তাঁদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে।
ট্রেন যাত্রার সময় ও রেল স্টেশনে যাত্রীদের সঠিকভাবে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে নির্দেশিকাতে। এছাড়াও যথাযথ ভাবে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম পালন করতে বলা হয়েছে।