মোহন ভাগবত। নিজস্ব চিত্র।
তিন দিনের সফরে সোমবার কলকাতায় আসছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন কলকাতায় আসেননি। করোনার প্রথম ঢেউ একটু কমার পর গত বছর কলকাতায় এসেছিলেন ভাগবত। সে বার কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। আরএসএস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তিনি ফের বেশ কছু বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। তবে তাঁদের মধ্যে সরাসরি দেখা হবে না। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হবে সেই বৈঠক।
বাংলায় আরএসএস-এর সদর দফতর কেশব ভবন রয়েছে ৯ নম্বর অভেদানন্দ রোডে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় সাংগঠনিক বৈঠক হবে সেখানে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদেরও ডাকা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা ভার্চুয়াল মাধ্যমে একটি সভা করবেন ভাগবত। অনলাইন সেই বৈঠকের লিঙ্ক পাঠানো হবে প্রায় ৩৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। বৈঠকে আমন্ত্রিতদের তালিকায় কারা রয়েছেন তা গোপন রেখেছে আরএসএস। তবে সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে থাকতে পারেন সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, সরোদিয়া তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, সন্তুরবাদক তরুণ ভট্টাচার্য। এ ছাড়াও ক্রীড়াবিদ দীপা কর্মকারও ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবারের পর বুধবারও কলকাতাতেই থাকবেন ভাগবত। তবে বুধবার কেশব ভবনেই সঙ্ঘের বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন তিনি। গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে এসেছিলেন ভাগবত। সে সময় তেজেন্দ্রনারায়ণের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অজয় চক্রবর্তীও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কাছে গানও শুনেছিলেন সঙ্ঘচালক।
আরএসএস মুখপাত্র বিপ্লব রায় বলেছেন, ‘‘এটা একেবারেই রুটিন সফর। সারা বছরই নতুন লোকেদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির কাজ করে সঙ্ঘ। এ জন্য গোটা দেশে ভ্রমণ করেন ভাগবত। পশ্চিমবঙ্গে সে জন্যই আসবেন।’’ গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। মমতার কাছে ধরাশায়ী হতে হয়েছে মোদী-শাহের দলকে। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২৫ সালে সঙ্ঘের ১০০ বছরের প্রস্তুতি নিতেই কী এই সফর? এই প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব বলেছেন, ‘‘সঙ্ঘের সারা বছরই কর্মসূচি চলে। এটা তারই অঙ্গ। এর সঙ্গে রাজনীতি এবং নির্বাচনের কোনও যোগ নেই।’’