সিকিম-বাংলার সম্পর্ক ফেরাবে কি রডোডেনড্রন গুচ্ছই

উদ্ধত শাখায় গুচ্ছে ফুটে থাকা রডোডেনড্রনই সিকিম-পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মেলবন্ধনের থিম হতে চলেছে। আগামী ২২ মার্চ থেকে পশ্চিম সিকিমের নুনথালে গ্রামে রডডেনড্রন উৎসব শুরু হতে চলেছে। চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। এগারো বছর ধরে এই উৎসব চললেও এ বারের পরিস্থিতি ভিন্ন বলে দাবি আয়োজকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৬
Share:

উদ্ধত শাখায় গুচ্ছে ফুটে থাকা রডোডেনড্রনই সিকিম-পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মেলবন্ধনের থিম হতে চলেছে। আগামী ২২ মার্চ থেকে পশ্চিম সিকিমের নুনথালে গ্রামে রডডেনড্রন উৎসব শুরু হতে চলেছে। চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। এগারো বছর ধরে এই উৎসব চললেও এ বারের পরিস্থিতি ভিন্ন বলে দাবি আয়োজকদের। বন্‌ধ-আন্দোলনের কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে। আস্থা ফিরে পেতে এই উৎসবকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন আয়োজকেরা। সেই সঙ্গে সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোরও তৈরি হয়েছিল। রডোডেনড্রন উৎসবের মধ্যে দিয়ে দুই রাজ্যের পর্যটন মেলবন্ধর জোরদার করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।

Advertisement

পশ্চিম সিকিমের যে গ্রামে উৎসব হচ্ছে তার কাছাকাছি বিলাসহবহুল হোটেল-রিসর্ট নেই। রয়েছে শুধু হোম স্টে। উৎসবে যোগ দিতে এ রাজ্য থেকেও হোম স্টে মালিকদের নিয়ে যাওয়া হবে। দুই রাজ্যের হোম স্টে-র মালিকদের মত বিনিময়ও হবে।

উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা তথা উত্তর-পূর্বের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন সংগঠনের মুখপাত্র রাজ বসুর কথায়, ‘‘পর্যটনের মধ্যে দিয়েই সুসম্পর্ক স্থাপন সম্ভব। এ বার পর্যটকদের সংখ্যা কম। আশা করছি এই উৎসব নতুন করে সম্পর্ক, পর্যটকদের পাহাড় আকর্ষণ সবই মজবুত করবেন।’’

Advertisement

রডোডেনড্রন উৎসব পুরোপুরি পর্যটন কেন্দ্রিক। বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় যেমন ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হবে তেমনিই ট্রেকিং, বাইকিং, প্যারাগ্লাইডিং, পাখি পর্যবেক্ষণের সুযোগও থাকবে পর্যটকদের। উৎসবে আসা যে কেউ ইচ্ছে করলে তাঁবুতেও রাত কাটাতে পারবেন। অন্তত সাড়ে সাতশো পর্যটক আসবেন ধরে নিয়ে আয়োজন শুরু হয়েছে। এ দিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন উদ্যোক্তারা।

সিকিমের পঞ্চায়েত সদস্য তথা উৎসব আয়োজক তুলসী বাহাদুর চাওয়ান বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে পোম স্টে বেশি। পর্যটকরা গেলে দেখতে পাবেন কতটা পেশাদারি কায়দায় সেগুলি তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও হোম স্টের মালিকদের যাওয়ার কথা রয়েছে। মতামত আদানপ্রদান হবে।’’ বিদেশি পর্যটকেরাও আসবেন উৎসবে। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যালও। তিনি বলেন, ‘‘গোড়া থেকেই আমরা এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত। সিকিমের ইতিহাসের শুরু কিন্তু পশ্চিমাংশ থেকেই। এখানে বহু পুরনো ধর্মস্থান, ভবন রয়েছে। সে সবের সঙ্গেও পর্যটকদের পরিচিত করা হবে।’’

উৎসবের নাম রডোডেনড্রন বেছে নেওয়ার কারণও জানা গেল। হিমালয় জুড়ে নেপাল, ভূটান থেকে দার্জিলিং, অরুণাচল সব অংশেই এই ফুল ফোটে। উদ্যোক্তাদের দাবি, সব অংশকে জুড়তে চেয়েই ফুলের নামে উৎসব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement