ফাইল ছবি।
অ্যান্টি ভাইরাল বা মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেওয়া যাবে না অনূর্ধ্ব ১৮-দের। বাদ দেওয়া হয়েছে রেমডেসিভির। নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এ ছাড়া অনূর্ধ্ব আঠারোদের করোনার কী কী উপসর্গ দেখা যেতে পারে, তা-ও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সেখানে বলা হয়েছে, এই বয়সিদের জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা, দুর্বলতা, ডায়েরিয়ার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় শিশুদের শারীরিক অবস্থাকে উপসর্গের প্রকৃতি অনুযায়ী উপসর্গহীন, মৃদু, মাঝারি ও প্রবল— এই চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে বাড়িতে বা কোভিড কেয়ার সেন্টারে বাচ্চাকে রাখা যাবে। তবে দেহের তাপমাত্রা ও রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নিয়মিত মেপে যেতে হবে। মাঝারি ও প্রবল উপসর্গের ক্ষেত্রে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো আবশ্যিক।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
নয়া নির্দেশিকা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের শিশুদের কোভিড চিকিৎসক দলের সদস্য মিহির সরকার বলেন, ‘‘এ বারের নির্দেশিকায় যোগ হয়েছে পোস্ট কোভিড কেয়ার। স্টেরয়েড ব্যবহার নিয়ে বিশেষ নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে। ১২ বছরের উপরে শিশুদের শারীরিক অবস্থা বুঝে রেমডেসিভির ব্যবহার করতেন চিকিৎসকেরা। এ বার তা পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিশুর অ্যান্টিবডির পরিমাণ দেখে চিকিৎসা শুরু না করার কথাও স্পষ্ট বলা আছে নির্দেশিকায়। শিশু ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত কি না তা দেখে নিতে বলা হয়েছে।’’
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়স হলে শিশুর মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। ছয় থেকে ১১ বছর বয়স্কদের প্রয়োজনমাফিক মাস্ক পরানো যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাঁদের শারীরিক সমস্যা না হয়। ১২ বছর ও তার ঊর্ধ্বের বাচ্চারা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই সব সময় মাস্ক ব্যবহার করবে। পাশাপাশি সাধারণ কোভিড বিধি, যেমন বার বার হাত ধোয়া ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা— এ সব মেনে চলতে হবে।
এই বয়সিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একান্ত প্রয়োজন না হলে স্টেরয়েড ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একান্তই যদি স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয়, তা হলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।