ছবি: পিটিআই।
বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নতুন এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বিদেশফেরত যাত্রীদের অবশ্যই অনলাইন ‘এয়ার সুবিধা’ পোর্টালে ‘সেল্ফ ডিক্ল্যারেশন’ ফর্মে নিজেদের সম্পর্কে জানাতে হবে। সঙ্গে গত ১৪ দিনের ভ্রমণ বৃত্তান্ত সম্পর্কেও অবহিত করতে হবে।
সফরের ৭২ ঘণ্টা আগে করানো আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে। যাত্রীরা ‘সেল্ফ ডিক্ল্যারেশন’ ফর্মে যা লিখছেন, তার সত্যতা যাচাই করা হবে। কোনও তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা রুজু করা হবে। যে সব যাত্রী ভারতে পৌঁছেই পরীক্ষা করানো প্রয়োজন মনে করবেন, তাঁরা আগে থেকেই এয়ার সুবিধা পোর্টালে তা বুক করতে পারবেন।
যাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসছেন কি না, তা জানাতে হবে বিমান সংস্থাকে। যাতে ভারতে পৌঁছনো মাত্রই তাঁদের পরীক্ষা, নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা যায়। যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তা হলে নিভৃতবাসে যেতে হবে। আর পজিটিভ হলে বিচ্ছিন্নবাসে পাঠানো হবে। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাত্রীরা কী করতে পারবেন, কী পারবেন না, তা যেন বিমান টিকিটের সঙ্গে উল্লেখ করে দেন বিমান কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলি। একমাত্র সেই যাত্রীদেরই বিমান সফরে অনুমতি দিতে হবে, যাঁরা এয়ার সুবিধা পোর্টালে এবং সেল্ফ ডিক্ল্যারেশন ফর্মে সমস্ত তথ্য পূরণ করবেন এবং যাঁদের আরটিরপিসিআর নেগেটিভ হবে।
আরও বলা হয়েছে যে, একমাত্র উপসর্গহীন যাত্রীদেরই বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর। সমস্ত যাত্রীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বিমান সফরের সময় কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম মানতে হবে যাত্রীদের। বিমান সফরের সময় কোনও যাত্রীর মধ্যে যদি উপসর্গ ধরা পড়ে, কোভিডবিধি অনুযায়ী তাঁকে আলাদা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে তৎক্ষণাৎ।
ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ভারতের বিমানবন্দরগুলিতে পৌঁছনোর পরই কোভিড পরীক্ষা করতে হবে (নিজেদের খরচে)। পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তা হলে ৭ দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। পৌঁছনোর অষ্টম দিনে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। সেই রিপোর্ট এয়ার সুবিধা পোর্টালে আপলোড করতে হবে। যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, আরও ৭ দিন স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে। সমুদ্রপথ এবং সড়কপথে যাঁরা আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বহাল থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা পাবেন না। এই যাত্রীদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এবং সেল্ফ ডিক্ল্যারেশন জমা দিতে হবে।