নেতাজি ইন্ডোরে চারু মজুমদার শতবর্ষ স্মরণে কনভেনশন। নিজস্ব চিত্র
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপির। সংখ্যার জোরেই একের পর এক ‘জনবিরোধী বিল’ তারা পাশ করিয়ে নিচ্ছে। সংসদে আটকাতে না পারলেও রাস্তায় গণ-আন্দোলন গড়েই ফ্যাসিবাদী জমানার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক উঠে এল চারু মজুমদার শতবর্ষ স্মরণে কনভেনশন থেকে। ইউএপিএ, এনআইএ-র সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তথ্য জানার অধিকারকে (আরটিআই) বাঁচানোর আহ্বান জানানো হল।
নকশাল নেতা চারুবাবুর জন্মশতবর্যের পাশাপাশি সিপিআই (এম-এল) দল প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ‘সংহতি ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার। সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের আয়োজিত ওই কনভেনশনে এ দিন ভরে উঠেছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম, ওড়িশা থেকেও এসেছিলেন বহু বাম সমর্থক। লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী তিস্তা শেতলবাড় বা পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা— সকলেই সরব হয়েছেন কেন্দ্রে দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে।
কেন্দ্রের নানা পরিকল্পনার বিরোধিতা করেই দীপঙ্করবাবু বলেন, ‘‘সংসদের ভিতরে বিরোধীরা দুর্বল হয়েছে। তাই বুলডোজ করে নানা বিল পাশ করাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, দেশের রাস্তায় যেন বিরোধিতার অভাব না হয়!’’ গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে মানুষের ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন তিনি। আর বাংলা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের চেহারা বদলে দিয়েছিল বামফ্রন্ট। কিন্তু বাম আমলের শেষ দিকে কৃষকের অধিকার হরণ এবং গণতন্ত্রের অভাবের অভিযোগ হাতিয়ার করে তৃণমূল ক্ষমতায় এসে যে হিংস্র ও দুর্নীতিগ্রস্ত জমানা নিয়ে এল, তার সুযোগ নিয়ে এখন বিজেপি রাজ্যে থাবা বসাচ্ছে!
তিস্তা অভিযোগ করেছেন, নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) নাম করে মুসলিমদের ‘অনুপ্রবেশকারী’র তকমা দিয়ে দেশছাড়া করতে চাইছে বিজেপি। দীপঙ্করবাবু এ দিন বলেছেন, ৯ অগস্ট ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের বর্ষপূর্তির দিন তাঁরা ‘এভিএম ছাড়ো’ দিবস পালন করবেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সব সভ্য দেশই ব্যালটে ভোট করে। ব্যালটে কারচুপির সুযোগ কম।’’