Durgapur

পানীয় জলের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দুর্গাপুরে

এ দিন জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয় বিধাননগর, দুর্গাপুর সিটি সেন্টার সেল কোঅপারেটিভ এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ১৯:১৯
Share:

বিজেপি নেতা দেবাশিস রায়কে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহা। নিজস্ব চিত্র।

ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল দুর্গাপুরবাসীদের। পানীয় জলের দাবিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। ক্ষোভ উগরে দিলেন পুরপ্রশাসনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙেছে গত ৩১ অক্টোবর। তার পর কেটে গিয়েছে আট দিন। বেশির ভাগ এলাকাতে জল এলেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সামনে দীপাবলি, কালীপুজো, ছটপুজো রয়েছে। দ্রুত জলসঙ্কট না মিটলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।

এ দিন জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয় বিধাননগর, দুর্গাপুর সিটি সেন্টার সেল কোঅপারেটিভ এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গায়। এলাকাবাসীদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব জল পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। কিছু কিছু এলাকায় জল পাওয়া গেলেও, সব জায়গায় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। মেয়র পারিষদ পবিত্র চট্টোপাধ্যায় জানান, শনিবার থেকেই জল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Advertisement

বিধাননগরে বিক্ষোভ চলাকালীন সেখানে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা দেবাশিস রায়। তাঁকে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহা। দেবাশিস রায়কে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দীপঙ্করের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘জল নিয়ে নোংরা রাজনীতি করতে এসেছে বিজেপি।’’ দেবাশিস রায়ের পাল্টা দাবি, “কোনও রাজনীতি নয়, এই সমস্যায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি।”

সেচ দফতরের আধিকারিক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৩১ নম্বর গেট মেরামতের পর দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়েছে। ৩১ নম্বর গেটের মেরামতি হলেও এ বার ৩০ নম্বর গেটের একাংশ দিয়ে ব্যারেজের জল বার হয়ে যাচ্ছে। তবে সেটা ভয়ের কারণ নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন গৌতমবাবু।

শুক্রবারেই ব্যারেজের মেরামতির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিছুটা হলেও আশার আলো দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু অন্য একটা সমস্যা সেই আশাও কেড়ে নেয়। মাইথন ও পাঞ্চেত জলবিদ্যুত কেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে তা পানীয় জলের চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। শুধু তাই নয়, মাইথন ও পাঞ্চেত বাঁধে জল কম থাকার ফলেও নতুন করে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুরপ্রশাসনের তরফ থেকে জলের ট্যাঙ্কার দিয়ে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা হয়েছে। কলকাতা পুরনিগম থেকে ট্যাঙ্কার আনা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও জলকষ্ট থেকে মুক্তি পাননি দুর্গাপুরবাসীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement