চিহ্ন: পাইপ বার হওয়ার পরে এমনই অবস্থা বাড়ির। ছবি: সুদীপ ঘোষ
মাটির নীচ দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎই লোহার পাইপ মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে ভেদ করে দিয়েছিল একটি বাড়ির ছাদ এবং রাস্তায় দাঁড়ানো একটি গাড়িকে। মধ্যমগ্রামের রানিপার্ক এলাকার এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও গাড়িটি থেকে বুধবার রাতে সেই পাইপ বার করলেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। পাশাপাশি বাড়ি ও গাড়িটির ক্ষতিপূরণের বিষয় নিয়েও বৃহস্পতিবার এক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক রথীন ঘোষ জানান, বাড়ি ও গাড়ির কতটা ক্ষতি হয়েছে, মেরামত করতে কত খরচ হবে— সে সব কিছু নিয়ে আজ, শুক্রবার আলোচনায় বসবেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, পুরসভা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার নিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাঁর কথায়, ‘‘ত্রিপাক্ষিক আলোচনার পরেই প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাড়ি ও গাড়িটি ঠিক করে দেওয়া হবে।’’
মঙ্গলবার রাতে মধ্যমগ্রাম চৌমাথার কাছে মাটির নীচে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করছিলেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা নিযুক্ত একটি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। পাইপের ভিতরে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিদ্যুতের তার। সে সময়ে নির্দিষ্ট পথে না গিয়ে হঠাৎই একটি পাইপ মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে। সোজা গিয়ে আঘাত করে রাস্তায় দাঁড়ানো একটি গাড়ি এবং সংলগ্ন একটি বাড়ির পাঁচিলে। এর পরে পাইপটি রাহুল চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ছাদ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। কেউ
হতাহত না হলেও গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা পরিস্থিতি দেখতে গেলে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান রাহুলবাবু এবং গাড়ির মালিক জগদীশ ঘোষ। গাড়ি না চললে সংসার চালাতে অসুবিধা হবে বলেও জানান জগদীশ।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার জেলার এক আধিকারিক বৃহস্পতিবার জানান, ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারেরা মিলে ঠিক করার পরে ঠিকাদার সংস্থার তরফে বাড়ির মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গাড়িটি যে সংস্থার, সেখানে সারাইয়ের জন্য পাঠিয়ে সেই ব্যয়ভারও নেওয়া হবে। যত দিন না গাড়িটি ঠিক হচ্ছে, তত দিন সেটির মালিককে প্রতিদিন ৭০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা।