Kalyani University

দ্বন্দ্ব থামাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধি দল

প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য-সহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৪৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত

শেষমেশ মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষা দফতরের তিন সদস্যের একটি দল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন। এ দিন সন্ধ্যায় ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য-সহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্য়ালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে পদ থেকে সরানো ও ফের তাঁকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত ঘিরে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়। এ দিন ঘণ্টা খানেক ধরে কয়েক জন পদস্থ কর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধি দলটি কলকাতায় ফিরে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই মনে করছেন, উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ এবং সহ উপাচার্য গৌতম পালের দ্বন্দ্ব নিরসনে উচ্চশিক্ষা দফতরের যে ভূমিকা পালন করা জরুরি ছিল, তা অবশেষে শুরু হল। এ বার হয়ত সমস্যার সমাধান হতে পারে।

এ দিন পূর্ব ঘোষণা মতো উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনে উপাচার্য বিরোধী আধিকারিক ও শিক্ষকেরা অবশ্য সে ভাবে সাড়া দেননি। আজ, বুধবার থেকে টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটি থাকবে। এ দিন সকালে অনেকেই আশা করেছিলেন, ছুটির আগের শেষ কাজের দিন ঝামেলা মিটবে। এ দিন সকালে আধিকারিকদের একাংশ চেয়েছিলেন উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করুন। কিন্তু শেষমেশ সেই বৈঠক আর হয়ে ওঠেনি। এ দিনও সকাল থেকেই আধিকারিকেরা কর্মবিরতি পালন করেন। জরুরি কোনও কাজ ছাড়া অন্য কোনও কাজ করেননি তাঁরা। এ দিনও তৃণমূল সমর্থিত কর্মচারী সংগঠন, শিক্ষাবন্ধুর নেতা-কর্মীরা দুপুরে মিছিল করে উপাচার্যের ঘরের সামনে সমবেত হন। তাঁরা এ দিন এই বিশৃঙ্খলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, বিশেষ করে উপাচার্যের সমালোচনা করেন।

Advertisement

গত ১৭ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে সরিয়ে উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ কার্যকরী রেজিস্ট্রার করেন সুভাষ সরকারকে। এ দিন নাম না করেই শিক্ষাবন্ধুর এক নেতা কার্যকরী রেজিস্ট্রারের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘আপনি অধ্যাপক। ক্লাসে গিয়ে ছাত্র পড়ান। এত পদের লোভ থাকা ভাল নয়।’’ এর মাধ্যমে আসলে শিক্ষাবন্ধুর নেতারা উপাচার্যের পাশে না থাকার বার্তা দিলেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ কর্মী মনে করছেন।

এ দিন এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আসলে আমরা এই প্রবণতার বিরোধী। আচমকা একজনকে ছুটিতে পাঠিয়ে অন্য জনকে সেই পদের দায়িত্ব সামলাতে বলাটা ভয়ঙ্কর। এটা চলতে থাকলে এ বার দেবাংশু রায়ের যে অবস্থা হয়েছে সেই অবস্থা যে ভবিষ্যতে অন্য কারও হবে না, তা বলা যায় না। ফলে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।’’ উপাচার্যের আবেদন প্রসঙ্গে ওয়েবকুপার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের আহ্বায়ক সুজয়কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘এই আবেদনে তো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনে চলছে। কিন্তু সেটা কখনওই হচ্ছে না। আবেদনে বলা হয়েছে, সহ উপাচার্য আর পাঁচ জন আধিকারিকের মতো। এটা কখনওই হতে পারে না।’’ তবে এ ব্যাপারে সহ উপাচার্য মন্তব্য করতে চাননি।

উপাচার্য বলেন, ‘‘এ দিনের আবেদন আশা করি সকলেই গ্রহণ করবেন। আমার আশা, ছুটির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আর উচ্চশিক্ষা দফতরের দলের সদস্যেরা কিছু বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমি সে সব বিষয়ে তাঁদের জানিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement