Recruitment Scam

মোবাইল পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছেন বিধায়ক! সিবিআই খুঁজে পেলেও তথ্য উদ্ধার সম্ভব কি?

৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় জলে ডুবে থাকলেও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মোবাইল থেকে তথ্য পেতে কোন অসুবিধা হয় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বড়ঞা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:০১
Share:

কত দূর যেতে পারে তৃণমূল বিধায়কের ছোড়া মোবাইল? ঢিল ছুড়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। —নিজস্ব চিত্র।

৩৬ ঘণ্টা পেরোলেও এখনও পুকুর থেকে উদ্ধার হয়নি মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দু’টি মোবাইল ফোন। কিন্তু ওই ফোন উদ্ধার হলেও সেটি থেকে তথ্য উদ্ধার করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয়ে সিবিআই আধিকারিকেরা। ফোন উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গেই যাতে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়, তার জন্য এক বিশেষজ্ঞকেও ডেকে আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের আশঙ্কা, সফ্‌টঅয়্যার সংক্রান্ত কোনও সমস্যা না হলেও কাদা জলে ডুবে থাকার কারণে হার্ডঅয়্যারের একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, ফোনের সমস্ত তথ্যও মুছে যেতে পারে।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে দাবি, মোবাইলের ক্ষতির পিছনে জলের থেকেও বড় ভূমিকা নিতে পারে পুকুরের নীচে জমে থাকা কাদা। ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় জলে ডুবে থাকলেও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মোবাইল থেকে তথ্য পেতে কোন অসুবিধা হয় না। কিন্তু তার থেকেও কম সময় মোবাইল কাদার মধ্যে ডুবে থাকলে তার থেকে তথ্য পুনরুদ্ধার করা সত্যিই কঠিন। কারণ তাতে হার্ডঅয়্যার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে সফ্‌টঅয়্যার বিশেষজ্ঞ সোহিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হার্ডঅয়্যার যদি ঠিকঠাক থাকে, তবে তথ্য পেতে কোনও অসুবিধা নেই। তবে যত দ্রুত সম্ভব জল থেকে বার করতে হবে।’’ নামী মোবাইল সংস্থার এক কারিগরও বলছেন, ‘‘মোবাইল চালু অবস্থায় কাদায় ফেলা হলে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মোবাইলের একাধিক আইসি ও ইন্টার্নাল স্টোরেজে স্লট নষ্ট হয়ে গেলে তা থেকে তথ্য উদ্ধার করা বেশ কষ্টকর।’’

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থতার কথা বলে বাড়ির বাইরে বেরোতে চান বিধায়ক। অভিযোগ, বাড়ির পিছনের শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পাঁচিল টপকে নিজের দু’টি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেন তিনি। তাঁর এই কাণ্ডে হকচকিয়ে যান তদন্তকারীরাও। বিধায়কের মোবাইল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেত বলে মনে করছেন তাঁরা। থাকতে পারে ‘এজেন্ট’দের ফোন নম্বরও। তাই, তখনই মোবাইল দু’টি উদ্ধারের কাজ শুরু করে সিবিআই। স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় পুকুরের জল ছেঁচে মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। তার পর শনিবার রাত গড়িয়েছে। এখনও সেই মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement