চাকরিপ্রার্থীরা জানান, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ মিছিল শুরু হবে শিয়ালদহে। মিছিল যাবে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। ফাইল চিত্র।
শিক্ষা ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়াটা তাঁদের অভিন্ন লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে কয়েক মাসের বিচ্ছিন্ন ধর্না-বিক্ষোভের পরে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর পদপ্রার্থীরা এই প্রথম মহাজোট গড়েছেন এবং তাঁদের ন’টি সংগঠন আজ, সোমবার ‘মহামিছিল’ করতে চলেছে কলকাতায়। আবার লক্ষ্য অভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও সেখানে পৌঁছনোর উপায়কে ঘিরে মতভেদও প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। আজকের প্রস্তাবিত মহামিছিল নিয়ে কর্মপ্রার্থীদের মধ্যে বিভাজন এই প্রথম প্রকট হয়ে উঠেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি। রাস্তায় বিক্ষোভে বসা কর্মপ্রার্থীদের কয়েকটি সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই মহামিছিলে যোগ দিচ্ছে না। নিজস্ব কর্মসূচি অনুযায়ী চলবে তারা।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকপদের প্রার্থীদের সংগঠন ‘যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ’ মহামিছিলে অংশগ্রহণ করলেও মিছিলে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নবম-দ্বাদশের প্রার্থীদের অন্য সংগঠন ‘বঙ্গীয় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা মঞ্চ’। লক্ষ্যের ক্ষেত্রে ঐক্য, অথচ দাবি আদায়ের পথ নিয়ে এমন মতান্তর কেন? বঙ্গীয় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা মঞ্চের প্রতিনিধি ইলিয়াস বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা এখন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছি। সরকার আমাদের চাকরি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমরা মিছিলে হাঁটছি না। গান্ধী-মূর্তির পাদদেশে আমরা যেমন অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছি, তেমনটাই চালিয়ে যাব। অবস্থানের পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।’’
এ দিকে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এই ধরনের কোনও আশ্বাস আসেনি বলে জানিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করছে ‘২০১৪-র প্রাইমারি টেট পাশ ট্রেন্ড নট ইনক্লুডেড একতা মঞ্চ’। ওই মঞ্চের তরফে অচিন্ত্য সামন্ত বলেন, ‘‘যারা অংশগ্রহণ করছে না, তাদের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমরা সরকারের থেকে সে-রকম কোনও আশ্বাস পাইনি।’’
মিছিলে যেতে ইচ্ছুক ন’টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, তাঁরা চান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করুন। এই দাবিতেই সোমবার মহামিছিল করা হচ্ছে।
চাকরিপ্রার্থীরা জানান, আজ বেলা ১২টা নাগাদ মিছিল শুরু হবে শিয়ালদহে। মিছিল যাবে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। সংগঠনগুলির দাবি, ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ মিছিলে যোগ দিতে পারেন। শুধু চাকরিপ্রার্থীরা নন, সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী— অনেকেই তাঁদের এই মহামিছিলে অংশগ্রহণ করবেন বলে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি।