কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
চেয়েছিলেন মামলায় যোগ দিতে। পড়তে হল আদালতের জরিমানার মুখে। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৯৫২ জনের নামের তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পক্ষ হিসেবে যুক্ত হতে আবেদন করেছিলেন ওই তালিকাভুক্ত ১২ জন শিক্ষক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই আর্জি খারিজ করেছেন এবং ‘বিচার ও তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত’ করার উদ্দেশ্যে ওই আবেদন করা হয়েছে বলে মামলাকারীদের এক টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। সেই এক টাকা পাবেন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার আবেদনকারী সেতাবুদ্দিনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
এ দিন মামলার শুনানিতে ওই ১২ জন যুক্ত হতে চাইলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ীকে প্রশ্ন করেন, ওঁরা এই মামলায় তাঁরা যুক্ত হতে চাইছেন কেন? অনিন্দ্য জানান, ওই তালিকায় নাম বেরোনোর ফলে সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁদের বদনাম হয়েছে। মামলায় যুক্ত হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী সাক্ষ্যসাবুদ পেশ করা হয়েছে, তাঁরা তা দেখতে চান। বিচারপতি জানান, রিট পিটিশনে যুক্ত হওয়ার শর্ত হল, সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য না-শুনে মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে না। কিন্তু এখনই এমন কোনও পরিস্থিতি হয়নি, যাতে ওই ১২ জনকে মামলায় যুক্ত করতে হবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় দুর্নীতির হদিস মিলেছে। অনেক বড় মাপের লোকজনের নাম সামনে এসেছে। অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। আবেদনের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, সেই বিচার প্রক্রিয়া এবং তদন্তে ব্যাঘাত ঘটানোর উদ্দেশ্য আছে।
এক টাকা অর্থদণ্ড নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন শিবিরের অনেকেই বিস্মিত। যদিও আইনজীবী মহলের ব্যাখ্যা, এ ক্ষেত্রে অর্থদণ্ডই মূল কথা, টাকার অঙ্কটা নয়। এই আবেদনে মামলাকারীর এমন কোনও আর্থিক ক্ষতি হয়নি, যাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রয়োজন। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় এবং ভিত্তিহীন আবেদনের ক্ষেত্রে আদালত এই ধরনের সাজা দিয়ে থাকে।