—প্রতীকী চিত্র।
দীর্ঘ ১২ বছর অপেক্ষার পরে অবশেষে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র পেতে শুরু করলেন। মঙ্গলবার প্রথম নিয়োগপত্র পেলেন নিউ ব্যারাকপুরের রাখি চট্টোপাধ্যায়। বেলুড় মঠ লালবাবা বিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞান পড়াবেন। পঞ্চমীর দিন নিয়োগপত্র পেয়ে খুশি রাখি। বললেন, ‘‘গত কাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া সুপারিশপত্র নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষক মঙ্গলবার যেতে বলেন। ওঁরা সব কাগজপত্র তৈরি রেখেছিলেন। স্কুলে যেতেই আমার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন প্রধান শিক্ষক। আজ অবশ্য ক্লাসে পড়াইনি। আজই স্কুলে পুজোর ছুটি পড়ে গেল । ছুটির পরে ক্লাস নেব। খুব আনন্দ হচ্ছে। দীর্ঘ ১২ বছর লড়াই করে চাকরি পেলাম। স্কুলে মিষ্টি
খাওয়া হল।’’
গত ২৮ অগস্ট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে ১৪০৫২ জনের চাকরি সুনিশ্চিত করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। যদিও জাতিগত এবং শিক্ষাগত কিছু গরমিলের কারণে ৯৬ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম বাতিল করে কমিশন মেধা তালিকা প্রকাশ করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর। তার পরে দফায় দফায় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুপারিশপত্র দেওয়া শুরু হয়। সুপারিশপত্র পাওয়ার পরে চাকরিপ্রার্থীদের বাকি থাকে শুধু স্কুল থেকে নিয়োগপত্র নেওয়া। কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘স্কুল থেকে নিয়োগপত্র পেতে চাকরিপ্রার্থীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে দিকেও আমরা খেয়াল রাখছি।’’