এই ছবি ঘিরেই যত বিতর্ক শুরু হয়েছে। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।
তাঁর অজান্তেই পিঠে অশ্লীল শব্দ লেখা হয়েছে বলে দাবি করলেন রবীন্দ্রভারতী-কাণ্ডে অভিযুক্ত এক ছাত্রী।
ওই ঘটনায় যাঁদের বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগে উঠেছে, তাঁদের মধ্যে তিন ছাত্রী এবং এক ছাত্র হুগলির চুঁচুড়া শহরের বাসিন্দা। তাঁরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী নন। হুগলিরই একটি কলেজের কলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। চার জনের মধ্যে এক ছাত্রীর পিঠে এবং ছাত্রটির বুকে অশ্লীল শব্দ লেখা হয়েছিল। ওই ছাত্রীই শনিবার ওই দাবি করেছেন। তবে, বুকের লেখা নিয়ে ছাত্রটি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কেন তাঁরা রবীন্দ্রভারতীতে গিয়েছিলেন? ওই ছাত্রী বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই রবীন্দ্র-স্মৃতি বিজড়িত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বসন্ত উৎসবে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। টিভিতে দেখে ভেবেছিলাম শান্তিনিকেতন যাব। কিন্তু এ বার শুনলাম ওখানে বসন্তোৎসব হবে না। তাই বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতীতে যাই।’’ ওই ছাত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই তাঁরা উৎসবে যোগ দেওয়ার ‘পাস’ পান। শুরুতেই ছিল আবির খেলা। ‘বহিরাগত’ হলেও তাঁদের সেখানে সকলে আপন করে নিয়েছিলেন। কয়েক জন ছাত্র তাঁদের পিঠে আবির দিয়ে রবীন্দ্রনাথের গানের কলি লেখার অনুরোধ জানানোয় তাঁরা রাজি হয়। কিন্তু তাঁদের পিঠে কী লেখা হয়েছে, তা তাঁরা জানতে পারেননি বলে ওই ছাত্রীর দাবি। তিনি আরও জানান, ওই অবস্থাতেই তাঁরা কিছু ক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোরেন। ছবিও ওঠে। তা দেখেই তাঁদের টনক নড়ে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুন: বধূ নির্যাতন তদন্তে ‘উপরি’ পুলিশের
অভিযুক্ত চার ছাত্রছাত্রীই মধ্যবিত্ত পরিবারের। রবীন্দ্রভারতী-কাণ্ডের কথা জানার পরে চার জনেই বাড়িতে বকুনি খেয়েছেন। তাঁদের বাবা-মায়েরা জানতেন না, ছেলেমেয়েরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ওই কাণ্ড করেছেন। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন ওই চার জন।